আমি সর্বকালের সব আঁধারে
চির দিগন্ত বাংলার বুকে
বারবার উঠি জেগে।
আমি রক্ত লাল চোখে,
ধ্বংস করি তরবারিঘাতে
ঐ খোদার সিংহাসন
যে খাজনার দায়ে লাথি মারে পেটে
হিংস্র হায়নার মত।
আমি দূর্জয়, আমি প্রলয়কারী জলোচ্ছ্বাস
আমি বিদ্রোহী কাজী নজরুল,
বারবার করি নির্মূল ঐ শকুনের জাত,
যে ছোঁ মেরে খায় গরীবের রুটি
নির্মম আর নির্দয়।
আমি বিদ্যুৎ আমি পুণ্য
আমি করি নিশ্চিহ্ন
যত ধরিত্রীর অপবাদ।
আমি তাদের ঝন্ডা উড়াই
যারা ধান কুসুম ফলাই
এই অবনীর পরে।
আমি না শান'ত প্রবণ
অপচয় করি সেই মহাজন
যার শাসন দূরান্ত।
আমি শীর্ষ আমি ষন্ড
আমি করি ধ্বংস, ঐ ষড়ৈশ্বর্য
প্রজা নির্দয় যে।
আমি কর্কশ আমি উগ্র
আমি পাগলা ঘোড়ার ন্যায় অতি তীব্র
আমি ছুটে চলি করি লন্ডভন্ড
সরকারের ঝনঝট।
আমি সাদৃশ্য আমি শিষ্য
সেই কালজয়ী মানবের,
যার রক্তে নিষ্পাপ হয় বসুমতী যুগেযুগে।
আমি ব্জ্র আমি যুদ্ধ
আমি হ্যারিকেন আমি ধ্বংস
আমি করি ভৎর্সনা, দিনপতি উঠে কাঁপি।
আমি নির্ভীক আমি মহাশূন্যযান
আমি ব্যুলেট আমি রকেট
আমি এ্যটোম আমি নব উত্থান।
আমি করি খর্ব, যুগ বিদ্ধেষীর কুপর্ব
আমি শান্তির মুক্ত পাখি,
তোমাদের রাজত্যে।
আমি জাগ্রত আমি উদগ্রীব
আমি উৎক্ষেপিত মিসাইল
যুগ রাবনের পটে।
আমি সত্য আমি উচ্ছ্বাস
আমি ঈশিতার সার্চলাইট
সেই পথভোলা নাবকের পথে।
আমি উচ্চকিত আমি অবারিত
আমি বৈরাগ্য আমি অগ্র
সব স্বেচ্ছা উন্মার্গের পরে।
আমি সংকল্প আমি বহ্নি
আমি ঘন আমি নকিব
কালের জাগরণে।
আমি প্রত্যুষ আমি আশা
আমি হিতকারী বর্ষা
ঐ ঊষর মৃত্তিকায়।
আমি প্রভঞ্জন আমি হিল্লোল
আমি মুখরিত শব্দ কল্লোল
এই বাংলায়।
আমি দোষমুক্ত দৃঢ় বন্ধন
সেই মহান পূজারীর
যার মন্দিরে দূর হয়, শত কাতরতা।
আমি শত ব্যাথাহীনতায় পথ দেখায়
বাংলার যুবক দলের।
আমি স্বাধীনতা আমি মুক্তি
আমি করিনা সাপোর্ট করিনা ভক্তি
বাঙালী রুপী রাজাকারের।
আমি একুশ আমি মিছিল
আমি রক্ত দিয়ে লেখা
সাত শ্রেষ্ঠ বীর।
আমি আজরাইল বধ করি ইয়াহিয়ার প্রাণ
যার কারনে বলি দিয়েছে বাংলা,
তার কালজয়ী সন্তান।
এইভাবে আসি আমি, বাংলার বুকে ভাই
যখন যেভাবে যেমন করিয়া
বাংলা মোরে চাই।
আমি বিদ্রোহী, আমি কাজী নজরুল।
১৭/০৭/২০১১