মনকলি! তুমি এক জ্বলন্ত নীহারিকা,
তোমার অগ্নিস্ফুলিঙ্গের আভায় সৃজে সহস্র কণিকা।
তুমি ঝলমলে ভাবের উন্মত্ত প্রতিমূর্তি;
তুমি দুর্দমনীয়! রুখতে পার মানবতার আর্তি।
মনোআকাশে তোমার উতকলিকা কে রুখিবে বলো!
স্বার্থোন্মত্ততার বর্জিত পথ ঘৃণাভরে মাড়িয়ে চলো ।
তোমার রুদ্র কণ্ঠ কে আছে রোধবার!
তুমি সদা এক অজেয় চেতনায় অগ্ন্যুদ্-গার।
তুমি ঝড়, তুমি ঝঞ্ঝা, তুমি অনির্বাণ দীপালোক;
তুমি দুর্বার,নিপীড়িত-বঞ্চিত মানবতার নবালোক।
তুমি হতে পার চেতনায় অগ্নিকুণ্ড;
হতে পার না তুমি ওদের মতো ভন্ড।
তোমার অগ্নিগর্ভে শুভচেতনারা উন্মাদ, তুমি অসুর;
দায়িত্ববোধে সততায় তুমি চির কাঁচা, চির কিশোর।
তুমি কবিতার অগ্নিঝড়া পঙ্ক্তির দর্পণ;
তুমি হতে পার নরপিশাচ-পাপিষ্ঠের চির শমন।
তোমার সুভচেতনার লেলিহানে ভস্ম হয় নরপিশাচের উন্মাদনা;
তুমি হতে পারো এক অভিযাচিত জাতির কাঙ্ক্ষিত প্রেরণা......।
হতে পার তুমি দীনেশ, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মানবতার কান্ডারি;
তুমি হতে পার বঞ্চিত জাতির দুঃসময়ে বিদিশার দিশারি।
শুনহে নবীন, শুন হে কাঁচা! তুমি চিরপ্রার্থিত নওজোয়ান!
স্বার্থান্বেষীর ঘৃণিত পথ মাড়িয়ে হও না এবার আগুয়াণ!