মানতাশা, তুমি যদি রংতামাশার বাইরে গিয়া        
             দুনিয়াটারে একবার ভাবতা
    যদি ভাবতা, আমার দরজায় বসন্তের বদলে
            কে আইসা কড়া নাড়ে হঠাৎ!
                  
                  বৌঠান! বৌঠান!
জল্লাদের হাত থেইকা বাচবার লাইগা আচমকা    
আইসা উপস্থিত হয়; আমারে আর মায়েরে ডাকে।


জাহান্নামের আগুনে বইসা আমি হাসবার চাইছিলাম
      পুষ্পের হাসি; সেই হাসি আর রইলো কই।
    
      সুসঙ্গের স্বর্ণখ‍্যাত বালি আইসা চোখে-মুখে
           আইজ আমার আন্ধার লাগে সব।
      
আমিও কোনোএক যৌবনে মুগ্ধতায় পড়েছিলাম খুব
    দুনিয়ার জান্নাত দেখে ক্রমশ কমে গিয়েছিল
      আসমানী জান্নাতে যাওয়ার তীব্র লোভ।


   বে-রোজাদার যেমনে লুকাইয়া চা বিড়ি খায়
    আমি তেমনে তারে সাবধানে পরখ করছি
   দেখবার চাইছি ভুলক্রমে পৃথিবীতে এসে পড়া
       এক উর্বশীর এলো চুল কেমন সুন্দর।
    
  ব্লটিং পেপারে শুষে নিয়েছিলাম সকল অবহেলা
আমার শৈশবের লালসাইকেলের প্রতি ভালোবাসা।


নক্ষত্রের রাতে বসে এঁকেছিলাম একটুখানি সুখ
দিবস-রাত্রি খাটুনির পর তার সাক্ষাতে ভুলে যেত
              আমার সকল দুঃখ!


   সরকারি চাকরিজীবীর কাছে বন্দি এতো প্রণয়
   এতো আয়োজন, ভালোবাসার জেরুজালেম।


     মানতাশা,সবকিছু সুন্দর; সুন্দর সুরভী,
        চলে যাবে টাকা ওয়ালাদের কাছে,        
        তবে আমাদের কাছে কি থাকবে......?