যেসময় আমার কবিতা লিখার কথা ছিলো
দুর্ভিক্ষ নিয়ে, ক্ষুধা নিয়ে
আমি তখন রচেছি তোমাকে।
তোমার এলো চুল আর ওষ্ঠাধর নিয়ে লিখেছি
শত শৈল্পিক উপমা।
যখন আমার যৌবন ছিলো উল্লাসের, প্রতিবাদের
রবের নিকট সিজদায় লুটিয়ে পড়ার;
তখন গিয়েছি তোমার হৃদয় মন্দিরে,
উপাসনার অর্ঘ্য বিলিয়েছি মনেপ্রাণে
একদন্ড সুখের আশায়।
চারিদিকে যেখানে শেতাঙ্গদের জয়জয়কার
সুন্দর তরুণীরা যেবা সকলের লক্ষ্য বস্তু
তখন আমি বর্ণবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছি
সমাজ-সংসার পাশ কাটিয়ে, ঘোর অমাবস্যায়
এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণীর চোখে চোখ রেখে বলেছি
"আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি"
তার জন্য আমি জগৎ এ হইয়াছি চ্যুত
নির্বাসন পেয়েছি সেন্ট হেলেনা দ্বীপে
নবকুমারের মতো হারিয়েছি পদ্মাবতীকে।
যেনে রাখো হে ঈশ্বর,
জাতপ্রথা রহিত হইয়াছে ঠিকই
"সুন্দরী ললনা না পেলে জীবন নষ্ট"
এই মতবাদ আজোও বিলুপ্ত হয়নি
সাদা চামড়ায় মগ্ন স্বদেশ
শুভ্র হৃদয়ের খোঁজ রাখেনি কোনো প্রেমিক
চেতনার বাংলাদেশে মসজিদের কাতার ছাড়া
সমাজতন্ত্র আর যে কোথাও দেখিনা।