বন্ধুটা একলা থাকে এখন,


মেটে জোছনার বিষাদ পুষে
সেই কবেকার অশ্রু শুষে,
শুকনো চোখে বিরাগ লেপে
নীরব শোকে কান্না মেপে,
অন্ধকারের চোরা ছায়ায়
আমার পাশেই ঘুমহীনতায়
রাতকে করে আপন।


বন্ধুটা একলা হাঁটবে পথ,


আমার সাথেই করতো যে বাস
এখন হঠাত পৃথক বিলাস,
মুকুর রূপে দেয় না দেখা
বিবেক কূপে রাখছে একা,
অবজ্ঞা তার আত্মপূজায়
অযত্নে আর অবহেলায়
চলছে যে তার রথ।


বন্ধুটা একলা সুখেই পর,


আমার মাঝেই থাকতো, তবু
কোন দ্বেষে আজ জবুথবু !
কোন অসাধে ভিন্ন এখন
থাকলো না আর আমার আপন,
যতোই শুধাই কিসের তরে
একলা হাসো মনের ঘরে
রয় সে নিরুত্তর।


বন্ধুটা একলাই ডুবে ভাসে,


জীবন নদীর ঘূর্ণি বানে
আমি ডুবি তলের টানে,
জল-বিষমে যা তা খুঁজি
মুক্তি শ্বাসের নেই তো পুঁজি,
বন্ধু একা নদীর বুকে
ডুবসাঁতারের অনুপ সুখে
আমায় দেখে হাসে।