এলোমেলো ভাবনাগুলো
খুব আপন এখন আমার ...
কাল্পনিক কথোপকথনের সাথে তাদের মিতালী।


ফোন করার ঠিক আগে নিশ্বাসের কম্পনে,
আর কথা শেষের পর এলেবেলে খেয়ালে
তারা ফুল হয়ে ফোটে মন বাগানের কল্পতরু শাখায়।


সেই ফুলের গায়ে অভিমানী রঙের খেলা,
ছাঁচহীন পাপড়িজুড়ে তোমার মোহিনী দৃষ্টির হিবিজিবি স্কেচ,
পল্লব হরিতে লেপা আনাড়ি ছন্দের কবিতা,
আপতিক বর্ষণে সিক্ত শাখায়
ফোটা ফোটা শিশিরে জমাট
অব্যক্ত অনুভূতির গল্প।


মন বাগানের শ্যামল ঘাসে
বিকেলের ছায়ায় অবহেলায় পড়ে থাকে
ভাবনা-কথনের উপন্যাস।


পুরুষ্ট কলেবরে তার অলীক চিত্রাবলী ...
অনুচ্ছেদ, খণ্ড, অধ্যায়জুড়ে ঘটনাহীন চরিত্রায়ণ,
গদ্যের ছলে লেখা একান্ত ব্যক্তিগত অনুরাগের উপাখ্যান ...
আর অলিখিত অনুযোগের বিভাবে লেখা প্রেমপত্র।


এলোমেলো সেই ভাবনাগুলোর অনুকাহিনীতে চিরবসন্তের রূপকথা ...
কল্পলোকের সোনারোদ সেখানে
শ্বেত-শিফন শাড়ি ভেদ করে ছুঁয়ে দেয়
তোমার শ্যামবর্ণ সুডৌল বুকের ভাঁজ, কোমল কটিদেশ, মসৃণ গ্রীবা ...


আলতো, পলকা, অথচ গভীর আবেগে,
নিবিড়, গহন আর সান্দ্র আবেশে ...


ঠিক যেমন কল্পনায় তোমাকে দেয়া
আমার পুরুষালী আদর, সঙ্গীসম স্পর্শ ...
যার সুস্থির, সুবিদিত, সুরম্য অভিলাষে
নিয়তই হয় হৃদয়ের নিগূঢ়, প্রচ্ছন্ন, আর অলক্ষ্য হরণ।


আপাতঃ বাতুল আমার এই ভাবনাগুলো
কোনো এক সাদামাটা দিনে
হঠাতই ছুঁয়ে দেবে তোমার হৃদয় ...


সেদিনই আসবে তোমার আমার বসন্ত,
মনে রেখো।