তোমরা কি দেখতে পারো
সময়ের চোখে জল ?
শুনতে পারো কি তার অস্ফুট কান্না ?
অনুভব করো কি তার অপলাপের কষ্ট,
সংবরণের খেদ, কিংবা
অনুতাপের লজ্জা ?


যখন তার নাম দিয়েছো সুসময় ...
উপমা লেপে নদী করেছো,
বহমান, শাশ্বত, অবিরাম, অজর, অমর, চিরন্তন বিশেষণ সঁপে
অমৃত অলংকার ভূষণে
জীবন দর্শনে তাকে নিয়ে যজ্ঞে মেতেছো রোজ  ...


জ্ঞান বিজ্ঞানে তাকে নিয়ে মাত্রা এঁকেছো,
কাব্যচিত্রে দিয়েছো অসীমের তাজ
তর্ক-বিতর্কে বারংবার ধর্ষণ করেছো
তার অস্তিত্ব ...
অথবা কখনও তোমাদের।


এরপর মন্দকালে দূষেছো তাকেই,
গাল দিয়েছো ভ্রষ্টাচারী বলে,
তার স্রোতে ভেসে দুঃসময়কে দাঁড় করিয়েছো
তারই কাঠগড়ায়।
কূটাভাসী বিচারে তাকে রূদ্ধ করেছো
খেয়ালী খাঁচায় ...
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে।


অথবা কখনও ব্যর্থ বিফল আক্ষেপে মজে
সহব্যাপী ধূলকালি ঝাড়ু দিয়ে মুছে মুছে
রোজনামচার গালিচার নীচে ঢেকে বলেছো ...
থাক এখানে ... অসময় কোথাকার!


তোমরা কি কেউ দেখতে পেয়েছো
সময়ের অদৃশ্য কাষ্ঠহাসি ?
তাচ্ছিল্যের স্মিত বিদ্রুপ,
তামাশা আর উপহাসে মোড়া তার
রসিক মৌনতা ?


তোমরা ঠিকই জানো  
তোমাদের শুধু আছে সুসময়, দুঃসময় আর অসময়ের ভাবনা ...
কিন্তু তোমাদের কাছে
সময় নেই।


সময়ের নেই কোনো সুসময়, দুঃসময় বা অসময় ....
তার কাছে
শুধু সময় আছে।