দর্পণে তুমি পার্থিবে আমি
তবু যেন একই আত্মা,
ভাঙলে মুকুর তুমি আকীর্ণ
আমি বিচলিত সত্তা।


আমি বিচূর্ণ অন্তরে তবু
যত্নে রেখেছি খোলস,
তোমার সাথে সাক্ষাতে আমি
খুলে নেই প্রিয় মুখোশ।


আমি বাস্তব বহুরূপী মুখ
প্রিতম-নিগূঢ়-ঘৃণিত,
তুমি সদা থাকো মঁজু-মনোহর
রূপে-রসে-গুণে প্রণীত।


আমার লুকানো বিষাদ জেনেছো
জেনেছো গুপ্ত লোভ,
না-বলা কথায় বাহবা দিয়েছো
দাওনি কখনো ক্ষোভ।


জোয়ার দেখেছো ভাটা দেখেছো
দেখেছো হৃদয়ে ঢেউ,
এমনভাবে আমাকে দেখেছো
দেখেনি যেভাবে কেউ।  


তবু তুমিও কিন্তু আমার মতো
নীরবে জমাও কষ্ট,
সুপ্ত ক্রোধের নিত্য দাহনে
নিজেকে করো যে ভ্রষ্ট।


আমার মতোই শূন্যে তাকাও
ব্যর্থতা-সমাহারে,
বিম্ব তুমি, তবু কেন নত
অপূর্ণতার ভারে ?


আমার সাথেই কাঁদো তুমি
আমার সাথেই হাসো,
তোমার চোখে তাকালেই বুঝি
আমাকেই ভালোবাসো।


আমিও যে ভালোবেসেছি তোমায়
সবার চাইতে বেশী,
এই পরকীয়া চোরাখেলা, আর
সনাতন-বিদ্বেষী।


তোমার আমার প্রেমকে সবাই
বলবে স্বার্থপর,
সংসারের এই দ্বিভাব-খেলা
আজও হাস্যকর।