এখন কিন্তু আর জেদী না,
তোমাকে পাওয়ার জন্য ঠেঁটা হয়েছে মন,
তাই তো তোমার ব্যালকনীর নীচে
লাজ-লজ্জাহীন অসামাজিক অপেক্ষায় সারাক্ষণ।


কখনও তোমার মুশকুন্ডা ভাইরা
গুন্ডা দিয়ে মেরে তক্তা করেছে এই শরীর,
এগারোটা ভাঙা হাড়সহ
হাজত মেঝেতে রক্তবমি মেখে পড়ে ছিলাম স্হির।


মনটা কিন্তু তখন জেদী,
হোক থানা-হাসপাতাল-মায়ের দিব্যি কেটে চুপ,
সতেরোর লুকানো জেদগুলো
ফ্র্যাকচার্ড বেদনার মতো ভেতরে হচ্ছিলো স্তুপ।  


প্রেম কি আর লুকিয়ে হয় ?
বাচ্চা ছেলের চোরা জেদে কোনো কাজ হলো না,
বেলাজের মতো নাটক না করা অব্দি
জেদী মনটার আর্তনাদ কারও কানে গেলো না।


এরপর সাঁনাই, উনিশের মার
তক্তা শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে আবার থানায়,
মনটা তখনও তোমার ব্যালকনীর নীচে
একা একা শুকনো কান্নায় বাতাস কাঁপায়।


তোমার ব্যালকনী বদল হলো
আমার মনের জেদটা পাল্টে হলো চোট,
স্বামীর বাড়ির দরজায় এসে
তোমার নাম জপতে কাঁপলো না ঠোঁট।


এবার হলাম গ্রেফতার
মার পড়লো হাজতবাসের রিমান্ডে,
তোমার নামে বদনাম জুটলো
ক্লাস-স্ট্যাটাসহীন এক্স-লাভারের কান্ডে।


জামিন হয়ে শরীর মুক্ত
মনটা রইলো ব্যালকনীর নীচে লেপ্টে,
জেদ-চোটের গুষ্টি মেরে
একগুঁয়েমির রোগটা ধরলো জাপটে।


ব্যালকনীর ঐ সড়কে হেঁটে
কাটছে জীবন ছদ্মবেশের পাগল হয়ে,
সবাই চেনে তাতে কি
ঠেঁটা মনটা সতেজ, যাক না শরীর ক্ষয়ে।