পাখিটার চাওয়া ছিলো
উড়বে সে নিজ খেয়ালে,
আকাশকে করবে আপন
থাকবে না চার দেয়ালে।


আকাশের মানা ছিলো না
বুকে তার অসীম ধরে,
দিন রাত রোদ ছায়া মেঘ
একই বুকে খেলা করে।


পাখিটা সেই স্বপ্নেই
মেলেছিলো ব্যাকুল ডানা,
আকাশে মানস চেতন
নীড় হোক ঘুম ঠিকানা।


আকাশেরও ছিলো না বাধা
তার তো নেই কোনো রঙ,
তাকে নিয়ে সবার গুমর
তবু তার অরব অহং।


তাদের এই দেয়া নেয়ায়
জাত কুল রঙ ছিলো না,
ঠিক ভুল মন্দ ভালোর
জ্ঞানী কোনো ঢং ছিলো না।


তাদের এই সরল খেলায়
সমাজের ক্ষোভ যে প্রবল,
ওরা কেন এতোই সহজ
ধরা কেন এতো দুর্বল ?


সমাজের খুব যে ঈর্ষা
ওরা কেন এতো অক্রূর,
চাওয়া পাওয়া এতোই সহজ
সংশ্লেষ এতো সুমধুর!


লোকে তাই আঁকলো নিয়ম
আকাশের বুকটা জুড়ে,
পাখিদের করলো শাসন
যাবি না কোথাও উড়ে।


আকাশের প্রতিবাদ নেই
সে শুধু তাকিয়ে দেখে,
পাখিরাও বন্দী নীরব
অপলাপ কালিমা মেখে ।


সমাজের চিন্তা কি আর
নিরাকার আজ নিরূপায়,
কোনো পাখি দলছুট হলে
মেরে ফেল ... কি আসে যায় ?