আমার কাছে যে আকাশটা চেয়েছিলে ...
সেই আকাশটা এখন অধমর্ণ, বিপন্ন, আর পলাতক।


আমার সাথে এখন তার কোনো যোগাযোগ নেই ...
খসড়া ভাবনাগুলো শুনতে চায় না,
জানতে চায় না কেমন আছি,
কেমন থাকবো, কেমন থাকতে চাই।


স্বজনহারা নিযুত হৃদয়ের দমিত আর্তনাদে
আকাশটার নীলে কালসিটে দাগ এখন ...
আবীর অরুণে জমাট রক্তের ছোপ,
অপরাহ্নের রোদে মাখা গুপ্ত ঝাঁঝালো বিষাদ,
সান্ধ্য মলয়ানিলে ভাসে নিরাধার কান্নার সুর,
জোছনার শ্বেতজুড়ে নিরুদ্ধ অনুতাপ,
গুচ্ছ বারিদে ছাইরঙা মনের ভস্ম।


নক্ষত্রবীথিতে অযুত হতভাগ্যের চিরস্হায়ী ঠিকানা ...
ভাইয়া-প্রিয়-খোকা-বাবা ... ধ্রুপদে,
আপু-প্রিয়া-আদুরী-মামণি ... অরুন্ধতীতে,
প্রিয়বন্ধুটা অনুরাধায়, স্যার নিহালে, পাগলাটা বসুদেবে।


আমারটা কোনটা হবে ?
বিশাখা ? বিষ্ণুতারা ? রত্নপুরী ? না লুব্ধক ?


বহু নির্বাক অভিমানী দৃষ্টির ঋণে
আকাশটা গুটিয়ে আছে, মুটিয়ে গেছে ...
আমাকে দেয়ার মতো তার আর কিছুই নেই।


আমিও তাই ভাবনাহীন, অন্তর্মূখী, নিস্তেজ ...
জনৈক নিপীড়িত হয়ে গেছি।


তোমাকে দেয়ার মতো
আমারও আর কিছুই নেই।