রজনী অনিল তোমার আঁচল ছুঁয়ে
চার দেয়ালে বিশ্রাম নেয় শুয়ে,
জোছনাস্নানের প্রতীক্ষাতে শহর
হচ্ছে শুরু তোমার আমার বাসর।


রমণী হৃদয় রাখছো ঢেকে লজ্জায়
অভীক কায়া আবৃত বধূ সজ্জায়,
অনগ্ন সব তবুও লুকাও চোখ
অদেখা চোখেই খুঁজছি স্বপ্নলোক।


কল্পনা সব হয়ে গেছে বানচাল
বুদ্ধি চিন্তা কথার বিমূঢ় হাল,
দেখছি তোমায় বেলাজ দৃষ্টি মেলে
নিগূঢ় আশায় আবিষ্ট মন দোলে।


তোমার মনন থাকবে গোপন কাব্য
শত শয্যায় পাশে শুয়ে আমি ভাববো,
কি ছিলো তোমার অন্তর সরোবরে
ডুববো ভাসবো অভিভূত চরাচরে।


এমনভাবেই কাটবে হাজার রাত
বয়সে কাঁপবে একদা যুবক হাত,
দিনের ক্লান্তি শয্যা আড়ালে রেখে
তুমিও থাকবে নিদ্রা প্রলেপ মেখে।


তখনও যে তুমি আমার হৃদয়ে বধূ
আধো চেনা, বাকি প্রিয় অজানার মধু,
শুধু পরিচিত ভালোবাসার এই আসর
অনুক্ষণে তাই মনে মনে রচি বাসর।