আমি তো সুখি নই কেমনে কবো বুঝিয়ে
সব যন্ত্রণা ঢেকেছি মিষ্টি হাসি দিয়ে ;
কেহ্ তা জানেনা , শুধু জানে মোর বিধাতা
কেহ্ তো দেখেনা,দেখে নিশির নীরবতা ।
সবাই দেখি সমুদ্র মনের উল্লাসে নিত্য করে
তাই কল্লোল রুপে,হেলিয়ে দুলিয়ে আসে তীরে ;
সকলে ছুটে যাই দেখতে, সঙ্গে নিয়ে প্রিয়জন
ঐ তরঙ্গ কষ্ট কম্পনের দীর্ঘ শ্বাস,ভেবেছ কি কোন জন ?
আমি সেই বেদন পূর্ণ সাগর
শরীর মর্তের চিত্ত পাথর ;
সুখের লেশ তো আমাতে নেই
হৃদয়ে সপ্ত অভ্রসম ব্যথা ,
অন্যকে কভু বুঝতে না-দেই
আমি তো এক মিথ্যুক অভিনেতা।
সবাই আপন কষ্ট করে ব্যক্ত
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পন্থায় ;
আমিও করি ব্যক্ত কত বেদন সিক্ত
একাকি নিঝুম নিশীথ নিরালায় ।
হাবিয়া নরকের অনলে পুড়ে,হয়েছি এক ভিন্ন কয়লা
শোভন পরিচ্ছদে আবৃত হৃদয়ের ক্ষত, ময়লা-
আমার বেদনে কেহ্ ব্যথিত হোক আমি কভু না-চাই
অজস্র শোক হৃদয়ে লুকিয়ে,অন্যকে হাসাতে মজা পাই ।
হয়ে বড় দুঃখি করি সুখি জনের অভিনয়
সকলে হয় খুশি জানে না আসল পরিচয় ;
তবু খুঁজে পায় আমার মাঝেই সততা
আমি খাঁটি মিথ্যুক এক অভিনেতা ।
বাদলপূর্ণ নীরদে আষাঢ়ের অবিরাম ঝড়ে আঁখি
বুকে আমার খরা চৈত্রের তৃষ্ণার্ত চাতক পাখি ;
ক্ষত-বিক্ষত এ শ্রীগাত্র লোকচক্ষুর অগোচরে
আমি পত্রহীন শুষ্কপর্ণী গহীন কুঞ্জের অভ্যন্তরে ।
এ কষ্ট মালঞ্চের সংগী হতে কেউ আসেনি,তুমি এলে কেন ?
এ বুকে বয়ে চলে প্রশান্ত সাগরের কল্লোল যেন-
চলেই যখন এসেছ, কেমনে বারণ করি!
থাক,আমার পাশে হয়ে ভাঙা তরি।
বাইরে দেখে চিরসুখী ভেবে,করেছ তুমি ভুল
আমি বসন্তের গন্ধহীন কৃষ্ণচূড়া ফুল;
কান পেতে শুনে নাও,আমার পরিচয়
সুখহীন করি আমি সুখির অভিনয়।