হে বৈশাখ ,তুমি আমার চিরচেনা
প্রতি বছর তোমাকে দেখি-
তুমি গ্রীষ্মের প্রতীক,মৃত্তিকা ফাটা উষ্ণকল্লোল
ভয়াবহ আতংক লন্ডভন্ড নির্মম সর্বনাশা
উড়ে নাও ভেঙ্গে চুড়ে দাও
পথজনের চটশিবির গরীবের কুঁড়েঘর
তুমি কাল নাগিনী কালবৈশাখী ঝড় ।
ওরা বলে,তুমি মুছে দাও গতবর্ষের
দুঃখকষ্ট আবর্জনা
শুচি করো ধরা ঘুচে দাও জরা বলে
খ্যাতিমান-
না, আমি এভাবে বলতে পারব না
কারণ, আমি তো মুসলমান।
তোমার নামেই বেহায়াপনা কত উৎসব !
ইলিশ কুরবানী !
কত খেলা ! কত মেলা প্রদর্শনী অশ্লীল
অনুষ্ঠান !
আচ্ছা , তুমিই বলো , তোমাকে বলতেই
হবে ! তুমি কার ?
তালে তাল মিলাতে আমি পারবো
না , আমি কি অন্ধ কবি ?
এসব দেখে, মন যমুনায় অসহ্য ঢেউ
কলিজা হয়ে যায় ছারখার
শিরক বিতআতকে যমের চেয়ে বেশি ভয় পাই !
কারণ , আমি মুসলিম।
সবকিছুর বিনিময়ে বেহেশত চাই।