সংঙ্কট শিকল ধারায় বহিছে যে বাও,
ফিরিবার পথ নাই, নাই আঁধারে সলিতা বাতি
কালের ও ধারায় ফিরিবার নাই পথ,নাই পালাবার।
অন্তরীক্ষে বাঁজিছে অহর্নিশি," উঠে পড়!"তাড়া কর"
এখন‌ই নামিবে আঁধার! জেগে ওঠ! ওহে বিপ্লবী!
ঈশ্বর বুঝি ক্ষনেক হাসে,কার তরে বিপ্লব?
কারে করিবে বধ এমনি রোষানলে।


এমনি দুঃসময়ে হেন রসিকতা,!
ঈশ্বর তোমাকেই সাজে, সৃষ্টির মহিমায় এতো অহংবোধ...
তোমার সৃষ্টি আপন খেয়ালে ভাঙ্গিছো খেয়াল খুশি।
কি বিচিত্র!! সৃষ্টি তোমার! ধ্বংসের প্রলয়নৃত্য তোমার


ঈশ্বর কহিল,থামো থামো!
কি কহিলে, আমি ধ্বংসের প্রলয়নৃত্য করেছি আপনমনে।
তুমি কেহ ন‌ও ? তুমি ন‌ও দায়ী বিন্দুসম!


কহিল হরিষ বিষাদে,হাসালে প্রভু..
কি দায় মোর আছে?
ঈশ্বর কহিল, তবে তো বেশ:
বনের পাখিরে কেমনে পুড়িলে খাঁচায়?
কেমনে মারিলে মৃগ নয়নীকে ?
কি হেলায় করিলে আঁশ,বাসা বাঁধিবে চাঁদের বুকে?


তোমার জন্য বাঁধা ধরনীকে বাঁধিলে শৃঙ্খলে,
জল ,মাটি,বায়ূ করিলে বিষময়,
সবুজ পৃথিবী হলো বিবর্ণ ধূসর।
গলল বরফ, মরুভূমি সবুজে ঘেরা
তবু তুমি নিস্পাপ,দোষ শুধু স্রষ্টার???


মনে রেখো,কালের গতিরোধ করে এমন সাধ্য কার?
তোমার কৃতকর্মের জন্য তোমার‌ই আহ্বান।।