নারী


নারী ধরিত্রী, কন্যা,জায়া, জননী।
নারী পত্র পল্লব শাখা মৃগ,
নারী সৃষ্টি, নারী স্রস্টার মহিমা।
নানা নামে, নানা ডাকে তব পরিচয়।
এতো নামে মিটে কি তবো সুধা?


পিতৃগৃহে যে নামে, স্বামীর বাড়িতে অন্য
চাকরি জীবনে যে নামে,পথ চলতে অন্যনামে।
নামের ভারেই নুব্জ তুমি ,নামেই  জয়জয়কার।
এতো নামের ভিড়ে হারিয়ে গেল নিজের পরিচয়!


জীবন ভরা দায়িত্ব তোমার, কর্তব্য অপার,
ভুল করেছো! সর্বনাশা দন্ড তোমার।
প্রেম করেছো; ছিঃ ছিঃ, লজ্জা নেই তোমার!
জগত সংসার অসার হলো
তোমার পাপের ফলে।
ভালোবাসবে! লোকে কিন্তু বাড়াবাড়ি বলে।


পুরুষ যদি ধর্ষক হয়, তুমি পতিতা।
তোমার জন্য নরক তৈরি,
তাহার জন্য নয়।
মেয়ে মানুষের শরীর দেখে,
জিহ্বায় জল আসে।
হবেই তো, তেঁতুল আর তোমার মাঝে
কি আর ফারাক আছে?


বিয়ে নামক সন্ধি চুক্তি,
শরীর বায়না করা।
তাই নয়কো, জীবন তরী শিকল দিয়ে বাঁধা।


চাকরি বাকরি ভালো কথা,
স্বাধীনতায় ভীষণ বাড়াবাড়ি।
মনের ঘরে দোর দিয়ে দাও।
হ্নদয় মাঝে চাবি।
তুমি যে শুধু মাত্র নারী।


ভাবছো বুঝি মরে গেলে,
মিলে যায় মুক্তি।
দূর বোকা,ওপারে যে সব আছে
হুরপরীরা বসে আছে
আঙ্গুর কমলা সব‌ই আছে,
তবে , তোমার জন্য নয়।
তুমি যে শুধু নারী।


অর্ধমানুষ,আধা জীবন,
আঁশ করো না ভা‌ই।
তোমার যা আছে তা কিন্তু আর কারো না‌ই।