তুমি কি ঘুনেপোকা, নাকি মনপোকা?
আহা, কি সাধের,পালঙ্ক, আরামকেদারা
সব কুটকুট করে কেটে দিলে,
অথচ এতটুকু টের পেলাম না।
যখন টের পেলাম, তখন নিরুপায়,
কিছু হয়তো করার ছিল; ছিল কি?


তুমি কি মনপোকা?
নাছোড়বান্দা তুমি, হ্নদয় ছাড়ো না
ঘুনেপোকা আর মনপোকা
স্বভাবে দারুন মিল;
তিলে তিলে,চিরে চিরে
ভেতরের মানুষটাকে কুঁড়ে খায়।
বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।


ঘুনেপোকা তবু বিরতি দেয়,
যত কাটাকাটি রাতে।
আর মনপোকা;অহনিশি
দিন রাত, জোছনা রাতে কিংবা অমাবস্যা
শীত, বসন্ত কিংবা চৈত্রের দুপুরে
বিরামহীন কেটে চলা।


বাইরের শক্ত আবরণ,
নারকেলের মতো, বাইরে শক্ত, ভিতরে সাদা
নাকি চৈত্রের পলাশ, রক্তিম লাল
অথচ কি নিদারুন কষ্ট ফোঁটার,
চৈত্রের দহনে পুড়তে পুড়তে জ্বলে ছারখার।
তবু ও নিয়মে ব্যত্যয় নেই।


ইদ্যানিং হিসাব কষে, রীতি মেপে
ঘুনেপোকা আর মনপোকা
সন্ধি চুক্তি করেছে;
কতটা দহন স‌ইবার ক্ষমতা তোমার!


আমি ও হালছাড়েনি, দেখিনা!
কতটা পুড়ে পুড়ে খাঁটি হ‌ওয়া যায়,
নাকি ছা‌ই হয়ে যাবো।
তবু বেঁচে থাক, প্রিয় ঘুনপোকা, প্রিয় মনপোকা আমার হ্নদয়ে অনন্তকাল।।