শরীর  
মন তুই কেমন আছিস?
নারে; একদম ভালো না।
কেন রে! কি হলো আবার?
আরে! তুই তো কোন খবর রাখিস না।
জানিস; পাশের বাসার ভাবী
মস্ত বড় ফ্ল্যাট কিনেছে।
শুনতে পেলাম কোটির ওপর দাম।
আর আমার তো বেহাল দশা;
পনের দিনেই মাস শেষ।
খরচপাতি বাড়ছে যেভাবে,
যায় না চলা, এমন ভারে।
মাস না যেতেই টানাটানি,
কাঁহাতক আর ভালো লাগে?


ছেলে মেয়ে লেখা পড়া
মোটের উপর চলছে চেপে,
কি যে হবে! ভাবতে গেলে কান্না আসে!
ঐ যে পিসতুতো ভাইয়ের,খুড়তুতো বোন,
মেডিক্যালে চান্স পেয়েছে!
আর আমার!
হতচ্ছাড়া ছেলে বলে;
ইতিহাস নিয়ে পড়বে।
আচ্ছা বলতো,পাল বংশের ইতিহাস জেনে,
ওর কি লাভ হবে?
বলিস না ভাই, আছি অনেক দুঃখে কষ্টে।


আচ্ছা আমি শুধু নিজের কথা বলছি,
তা ভাই, তোমার দেহখানির খবর বলো।
হা হা, আমি ভাই ভালোই আছি।
যদি ও সর্দি কাশি লেগে আছে,
মাঝে মাঝে বুকের পাশে ব্যথা ও করে;
ডাক্তার বলে,ব্যামো আছে!
ঐ যে কি ফুটো করে, হ্নদয়খানা জুড়ে দেবে!
আমি বলি, কি দরকার?
এই তো বেশ ভালো আছি।
অক্ষত এই দেহ খানা যে জন দিছে,
তাঁর কাছে ঠিক ফিরে যাবো, এমন করে।


কতো লোক যে মরে শোকে,
তার কি আর হিসাব আছে?
এই তো ভালো,বেশ আছি
যে কটা দিন বাঁচি,
তুই আর আমি মিলে সন্ধি করি।
না পাওয়াকে বাদ দিয়ে দেই!
দীর্ঘ জীবন, দীর্ঘশ্বাস!
রেখে কি লাভ? এমন আঁশ!
মানব জীবন র‌ইবে পড়ে,
যদি না হয় পতিত সোনা।
চাষ করে নে মন হ্নদয়খানা।।