--------------------///----


সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে
জীবন-মান উন্নয়নের তাগিদে ;
বসতি মোর নিউকাসেলের "বেলাইত" শহরে !
কর্ম-ব্যস্ত রাত শেষে-ঘরে ফিরে ,
চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে -
চেয়ারে বসে , আন্-মনে !
বাড়ির সামনের আঙ্গিনায়
ঠিক পূর্ব পাশে -
নিজ হাতে গড়া বাগানটির কথা
আজ বেশি মনে পড়ে ।


মনে পড়ে , গোলাপ , চামেলি ,শিউলি সহ
রঙ্গ-বেরঙ্গের বাহারি ফুলের স্মৃতি ;
অপরূপ সাজে সজ্জিত বাগানের ফুলগুলি-
দোল খেতো দক্ষিণা হাওয়ায় !
ফুলের সৌরভে সুবাসিত হতো সমস্ত আঙ্গিনা ।


আবার আঙ্গিনার ঠিক পূর্ব দিকে
রয়েছে বাড়ির বড় দিঘীটি ,
যার সাথে রয়েছে মোর -
শিশু-কিশোর  -জীবনের অনেক স্মৃতি !
দিঘীটির পশ্চিম পাশে রয়েছে
সারি বদ্ধ আমগাছ,নারিকেল গাছ,জাম গাছ সহ -
প্রচুর সুপারি গাছ !
বৈশাখের ঝড়ো হাওয়ায় ,ঝড়ে পড়তো আম ;
ভাই-বোন মিলে কুড়াতাম , সেই আম-জাম !


স্কুল ফাঁকি দিয়ে -
দিঘীর সিড়িতে বসে মাছ ধরা
গান গেয়ে সাঁতার কাটা -
কতো যে আনন্দের !
চোখের মনিকোটায় ভেসে উঠে
আজ সে সব স্মৃতি ।


বাড়ির ঠিক দক্ষিন পাশে -
পূর্ব পুরুষের দ্বারা নির্মিত পুরানো সেই মসজিদ ;
পাড়ার সকলে মিলে পাজ্ঞেগানা নামাজ সহ
জুম্মার নামাজ আদায় করতাম সেখানে ।
দেড়শত বৎসরের পুরানো মসজিদটি যখন -
বয়সের ভারে নতজানু ;
পরিবারের সম্মেলিত উদ্দ্যোগে সেটাকে ভেঙ্গে -
নতুন মসজিদ করি নির্মাণ ।
মসজিদের সামনে পুকুরের পূর্ব পাশেই -
খেলার মাঠ , যেটি ছিলো আমাদের প্রান !


সে মাঠে-ফুটবল , ব্যাডমিন্টন , গুল্লাছুট সহ
নানান জাতের খেলা খেলে কাটিয়েছি -
দিনের পর দিন-বছরের পর বছর !
আহা: ! কি সুন্দর !


কবিতার ছন্দে তাই বলি -


সেই স্কুলের ছুটিতে-সকালে নাস্তা শেষে !
      কন্-কনে শীতের দিনে ।
লাল- নীল ঘুরি-আকাশে উড়াই !
           মনে-কতো আনন্দ নিয়ে ।


বর্ষা দিনে-বৃষ্টিতে ভেঁজে
     জাল দিয়ে ধরি মাছ !
   কখনো আবার নৌকা দিয়ে
        খেলে যাই-নৌকা-বাইছ !


সকাল-দুপুর-বিকেল পেরিয়ে
     সন্ধ্যায় ফিরি বাড়ি !
   নিদ্রা শেষে অপেক্ষায় থাকি
        রাত পোহাতে কতো দেরি ।


পুরোনো দিনগুলি-ভেসে উঠে শুধু
     হৃদয়ের লুকোনো খাতায় !
   মনের কথাগুলো-লিখে গেলাম আজ
         মোর নতুন স্মৃতির পাতায় ।।


      ------------//-----------


    তারিখ :- ১৭ ই মে ২০১৭ !
           নিউকাসল !