বাল্টিক সাগরের পাশে
আমার হাঁটার পথ।
এখানে বিস্তৃত পিচের রাস্তায় নানা লোকের মেলা,
উত্তরে হাওয়া
দুপুর তিনটেয় অন্ধকার নামায়।
মন কে প্রশ্ন করি।
আমার ঘর কোথায়? কোথায় আমার দেশ?


বাল্টিক সাগরের ঠিক পাশে
আমার শোয়ার জায়গা।
কবে এক তরুণ নদী সাগর হবে বলে
ঘর ছেড়েছিল। সেও কি ঠিক পথ খুঁজে নেবে?
আমার মত? তারও কি আস্তানা বাল্টিক সাগর?
বন্দর শহর, বুকের ভেতরে জমানো ধোঁয়া ছাড়ে।
চিমনির মুখ থেকে বেরোয়
ঝাঁকে ঝাঁকে আটল্যান্টিক ম্যাকরেল।
রুপোলী মাছ বাল্টিক সাগর দাপিয়ে বেড়ায়।
এখানে আমি কোথায়?


বাল্টিক সাগরের পাশে
আমার হাঁটার পথ।
কতবার নুড়ি তুলে নিয়েছি প্যান্টের দুই পকেটে।
দুহাত ভরে তুলেছি মুঠো মুঠো বালি।
আঙ্গুলের ফাঁক গলে সেই বালি
কোনও এক ছায়পথময় রাতে
জ্যোৎস্না হয়ে মিশে গেছে
আমার বাড়ির উঠোনে।
সুইডিশ তরুণীর মত চপলা রাত
চোখের পলকে ছুটে গেছে সাইকেল নিয়ে
সকাল আনবে বলে।


বাল্টিক সাগরের ঠিক পাশে আমার ঘর।
নরম রোদ মেশানো বেগুনী টিউলিপের বাগান
মাটি থেকে তুলে আনে বিদেশী গান
আর মানুষ।
আমি পথ চলি আর দেখি তার মুখ।
আমার পায়ের পাতায় কালো
বাল্টিক সাগরের জল
পৃথিবীর মানচিত্র ধুয়ে দেয়।
ধোয়া মানচিত্রে আমি তেরঙা দেশ খুঁজি।
ভাইকিংদের গভীর জলে আমি কাগজের নৌকা ভাসাই।
বাল্টিক সাগরের পাশে
আমাকে হারানোর দেশ খুঁজি।
বাল্টিক সাগরের পাশে
আমি আমার দেশ খুঁজি।