যমুনার জল বেয়ে উৎসব নামছে।
পিঙ্গল আকাশ।
সুচরিতেষু মেঘ।
লাঠির আর লোভাতুর ছুড়ি দিয়ে ধার করা জিভ
আঙুল তুলেছে!
এ দুপুর মৃত্যুপুরীর ঘণ্টা শোনায়।
ছম ছম বাজে পায়ের কাকন। আশঙ্কায়।
নরম মাটি চেপে ধরে পোষা হাত।
মিসমিসে কালো শিকলে বাঁধা পা।
টান মেরে খোলো তোরণ।
ভেতরে ছোটাও তোমার অশ্বমেধ। অবাধ।
শান্ত বিকেলে কাদামাখা,  ভেজা কাঠামো, শ্যাওলার পাড়।
চুপ !
শব্দ করোনা!
এখানে শায়িত আছেন দুর্গা।
সে তো আর দেবী নয়!
ভয় ছুঁয়েছে তার ছাই।
উড়ো খই পরে আছে এদিক ওদিক।
ঝুপ করে দাঁড় কাকে তুলে নিয়ে গেছে
তুলতুলে ঠোঁট!
কচি গাল টিপে ধরেছে তামাটে আঙুল!
টাওয়ার অফ সাইলেন্টে ছিন্নভিন্ন বেবাক অনুভূতি
আর শোকে পাথর দুটি চোখ।
লজ্জায় লাল হয়ে যায় উড়ন্ত শকুন!


যবনিকা শয্যায় আমার দেশ।
কেমন দুহাতে গলা চেপে ধরেছে দেখো।
রাত্রি কেটেছে ওর গ্রিন করিডোরে।
হাঁটুতে মুখ বুজে বসে অনাথ সকাল।


তিলে তিলে জমা ক্ষোভ ত্বক বেয়ে নামে।
জ্বালা মেশে অনায়াসে যমুনার জলে।
বিধাতার মুখ গিয়ে মেশে
পোড়া কালভার্টে!