আগাছার মত বেড়ে ওঠা
ঘাস গুলো গাঢ় হলুদ।
বহু বছর কেটে গেছে
এখানে কেউ আসেনা।
পাশের বাড়ির ষোলো
বছরের মেয়েটা আজও নিরুদ্দেশ
কোন দেশেই বা তার বাপ
এ কথা কেউ জানেনা।
পোড়া খড়ের চালে ছত্রাকের প্রলাপ
পচা কাঠ কে নিচু
স্বরে বলে চুপকথা।
কতটা গভীরে কার লাশ?
কতটা রক্তে লাল
কার বাড়ির দেওয়াল।
মাটির পেট থেকে তুমি টেনে বার কর
জ্যান্ত চ্যামরা। চুল টেনে মুখে
তুলি দিয়ে আঁক ক্ষতরেখা।
গেরস্তের শান্ত ছাদে
স্থির হয়ে বসে শকুন।
মন দিয়ে গোনে তোমার হাতের আঙুল।
আরো ছবি আঁকবে তুমি?
পাতাদিয়ে মাছ ঢেকেছিল একদিন
সেই বছর ষোলোর মেয়ে।
মাঝনদিতে এক ডুবে তুলে আনতো
কচুরিপানা আর ভাতের টাটকা ফ্যান।
জানতে চাও তার বয়স এখন কত
কি করবে সে এরপর?
চাকরি না বিয়ে?
জানতে চাও তুমি?
বহু বছর কেটে গেছে
এখানে কেউ আসেনা
শ্যাওলায় ঘুন ধরে গেছে
ওদের বাড়ির উঠান।
ওর বাপের ও ছিল অনেক ঘুন ধরা সাধ।
ভাত দেখবে একদিন, দুচোখ ভরে।
দুহাত পেতে নেবে মেয়ের রোজকার।
সজোরে উপড়ে ফেলবে অন্ধকার
গর্বের হাসিতে।
হায়রে ষোলো বছরের সেই
আধফোটা কিশোরী মেয়ে
রোজাকার দিলো অনেক।
দুহাত ভরে,
সকালের কাগজ আর টিভি চ্যানেলের।