মাথার ওপরে চুলটা তখনো উড়ছে।
পাতলা। আলতো করে।
জামার বোতামটা বেঁহুশ খুলে রয়েছে।
পায়ে ট্যাগটা ঝুলিয়ে রুম সুপারভ্যাইজার
বাইরে গেলেন এইমাত্র।
এখুনি নগ্ন হবে দেহটা।
তারপর শুরু হবে অনুসন্ধান, স্থাপত্য।


নির্দিষ্ট শিল্পি এখনো আসেননি
এসে পড়বেন হয়ত।
চারদিকে ইথারের গন্ধে
ভারী হয়ে আছে ঘরের বাতাস।


কি হয়েছিল লোকটার
আকসিডেন্ট, হোমিসাইড
নাকি নিজেই নিজেকে..
এসব কথা ভাবতে ভাবতে
আরও গতি বাড়াবে গ্লাভসে ঢাকা তর্জনীরা।


লোকটা কোনো অপরাধী নয়ত।
জোড় করে কেড়ে নেইনিতো কারও সুখ।
অথবা কোনো চরমপন্থী
ধর্ম নিয়ে খেলতে চাইত শেষ খেলা।
না পুলিশ নিশ্চই নয়।
কি প্রমান? ওই যে ইউনিফর্ম নেই।
হতে পারে কোনো মধ্যবিত্ত ছাপোষা
নিতান্ত সাধারণ কেউ।
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে
আদরের মেয়েকে নিয়ে
বেড়াতে যাবে বলেছিল।
বেড়াতে এল, কিন্তু আর ফিরে যাবেনা।
এখানে এলে কেউ ফিরে যায়না।


পলিটিক্যাল নেতা নিশ্চই নয়।
এতক্ষণে শুরু হয়ে যেত
ব্রেকিং নিউজ আর বাগাড়ম্বর তরজা।


তাহলে লোকটা কে?
সর্বনাশ কবি যদি হয় তবে?
সশব্দে ফেটে পড়বে মাথার খুলিটা
আর কিলবিল করে বেড়িয়ে পড়বে
অবাধ্য শব্দগুলো।
হাতের নখগুলো হয়ে উঠবে
একাকটা কলম। দুহাতে দশটা।


এই ঘরের দেওয়ালে হেঁটে বেড়াবে
মেধাবী দিবাস্বপ্নরা, ছন্দপ্রেম, ভাষা।
এইসব দেখলে নির্দিষ্ট শিল্পি
ভয় পেতে পারেন।


এরচেয়ে থাকনা যেমন শুয়ে আছে
নিস্তব্ধ নিউক্লিয়াস সমষ্টি।
শুয়ে থাকুক দুদন্ড। চিরশান্তি।