মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়।
আসলে জন্মগত অপাপবিদ্ধ্বা।


স্কুল ব্যাগে ওর
হাঁসি ভর্তি বই।
এক পেট মিডডেমিলে কাঁকর,বালি
আরো কত কিছু..
ওর মুখে হাঁসি কই?


মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়
সন্ধে বেলা বাড়ি ফিরলে
দুমুঠো খেতে কি পায়?


সেই মেয়ে অন্ধকার হয়
ধুলোঢাকা জুটমিলে, ঘুপচি শৈশবে
ক্লান্ত অস্থির জোত্স্নায়।


অচেনা দোকান সাজায়
রুপালি মোহক, কঠিন খেলা।
একডাল থেকে আর এক ডালে
বসে ক্ষুধার্ত পেঁচা।


মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়
ওর বিতারিত বাবা
লেদ মেশিনে হাত দিয়েছে।
মা বসে আছে ঠোঙা আর পান্তা নিয়ে
নুন নেই। আছে শুধু পোড়া উনুন্।


মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়
ভোরে ওঠা ফুটন্ত সুর্য
ওকে একটা লাল শাড়ি দিয়েছিল।
পুরো শাড়িটায় ডুরে করা কাজ।
ডুরে করা কাজ,
শেষ করে সুর্য অস্ত গেল।
আবার মেয়েটা অন্ধকার হবে।
পড়বে লাল শাড়ি ডুরে করা কাজ।


মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়।
রোজ রাতে ওর পুতুল খেলা।
রাত শেষ হলেই হবে ভুল।
ওকে নিয়ে গল্প করবে প্রজাপতি ফুল ।
কানপেতে বসবে মেলা।


মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়।
শরীরে জঙ ধরে রঙ খসে যায়।
কাঁচা পাকা মন আগুন খোঁজে।
রাজবেশে উঠে যায় কাঠচিতায়।


ছুঁক না একটু আগুন
শুয়ে থাক আজন্ম, মোড়া থাক
ডুরে কাজ লাল শাড়িটায়।


মেয়েটার নাম অপর্ণা
নামে কি আসে যায়।