আরেকটু জোড়ে
না হলেই ট্রেনটা মিস্।
পিছনে বাসের ব্রেক কষার আওয়াজ।
ক্যাঁচচ্..
রাস্তা পরিস্কার করতে করতে
মেয়েটা আড়চোখে তাকালো।
কে জানে কি ভাবল।
চায়ের দোকানের কেটলির আর দোষ কি
ওকে পুড়তেই হবে
কয়লার সাথে।
ছোটো চারারা স্কুলে যাচ্ছে।
স্কুল জীবনটাই ভাল ছিল।
বড় হয়েই যত মুস্কিল।
আচ্ছা হাত ঘড়িটা কি স্লো হয়ে গেল?
টাইটা বড্ড টাইট হয়ে গেছে।
ম্যানি ব্যাগটাও হালকা লাগছে।
চাকরিটা হবে তো?
আজকাল বাসের গায়ে
গুচ্ছের বিজ্ঞাপন।
আমি তাতে অন্য ছবি দেখি।
বাবার পেনশন দিয়ে
আর বেশী দিন চলবেনা।
মাকে একটা বড় ডাক্তার..
ভেলোরে নিয়ে যাবার কথা বলছিল।
কেউ কেউ।
বাড়ির উত্তর দিকটা বিপজ্জনক।
এগুলো আগে করতেই হবে।
মাইনেটা কত চাইব?
ভেলোরের ট্রেনের টিকিট আর
রাজমিস্ত্রীর খরচটা কি
যোগ করে বলব।
স্মিতা একটা মোবাইল চেয়েছিল।
এনড্রয়েড। পারলে সেটাও।
নানা অনেক বেশী ভাবছি।
টাইটা আরও টাইট হয়ে গেল।
হাতঘড়িটা বন্ধ। হটাত সব অন্ধকার।
একটা সাদা কাপড় উড়ে যাচ্ছে।
মাথার ভেতরে হাতুড়ি পেটা হচ্ছে।
চোখ উপড়ে ভেসে যাচ্ছে রক্ত।
ফাঁকা রাস্তায় এত ভীড় কেন।
আমি তো ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি।
এতে দেখবার কি আছে।
ভেলোরের ট্রেনটা
আস্তে আস্তে ছেড়ে গেল।
শুধু ষ্টেশনটা পড়ে থাকল।
এখন ক্লান্ত আমি।
শুয়ে আছি একটা লম্বা টেবিলে।
ইথার মাখানো শরীর।
এখুনি ইন্টারভিউ শুরু হবে..