তোমাকে চিঠি লিখব বলে
একটা গোটা খাতা ছিঁড়ে একসা করেছি।
সাথে নিয়ে বসেছি এক ব্যাগ অভিমান।
এখন বেশ শীত শীত ভাব।
উল্টো করে বোনা মাফলারটা বেশ উষ্ণ।
ঠিক তোমার হাতের মত।
বিকেলের কফিটা মিষ্টি খাইনা আর।
ডায়বেটিসটা বেড়েছে আবার।
হটাত করেই।


দুচার পা হাঁটতে বেরোই ঠিকই।
সঙ্গে হাসি রাখতে হয় এক মুখ।
বিলোতে বিলোতে পথ চলি।
রমেন, অনিমেষরা এদিকটা আসেনা আজকাল।
প্রদীপ বাবুর খবরতো তুমি জানো।
বাজারে যাওয়ার পথে হটাত..
না আমাকে শশ্মানে যেতে দেইনি ব​ড় বৌমা।


পালঙ চাষ করেছে পাশের বাড়িতে।
ওদের উঠোনে কচি কচি পালঙ..ছেয়ে গেছে।
আমরাও কুম​ড়ো চাষ করেছিলাম একবার।
মাচা ধরে ছাদে উঠে গেছিল গাছটা..
তর তর করে।
ঠিক যেমন বেড়ে উঠেছিল
আমাদের সন্তানরা।
মনে আছে তোমার?


হাতের আঙুল গুলো কেমন আরষ্ট আজকাল।
অনেক কিছু লিখব বলেও কলম ন​ড়েনা।
থেমে থাকে খাতা।
একান্ত শব্দহীন অনুভুতিগুলো বির্মূত।
সময় পেলে পড়।


বড় ছেলের অফিসে কিছু সমস্যার কথা
তোমাকে বলেছিলাম।
চাকরিটা থাকবেনা হ​য়ত।
আমার চোখের কথাটা ওকে বলতে পারিনি এখনও।
থাকনা ছানি।
এভাবেই বাঁচব যতদিন পারি।


তোমাকে চিঠি লিখব বলে
দুটো চোখ ভর্তি করে জল এনেছি।
একটা গোটা খাতা ভিজিয়ে একসা করেছি।
অথচ বিশ্বাস কর কাঁদিনি এক ফোঁটাও।
কাঁদিনি সেদিনও।
যেদিন তুমি আমার সঙ্গে গেলে
কিন্তু আর ফিরে আসনি।
তুমি আর আসনি ফিরে।