রাত আটটায় তোমার বাড়ি ফেরার কথা
গাড়ির চাকায় মাপা রাস্তা
আটল্যান্টিক ওশোন রোডের মত বেঁকে যাচ্ছে।
তীব্র আলোয় চক চকে চিবুকে
চাপ চাপ রক্ত।
ফগলাইট জ্বেলে ছুটে যাওয়া সাইরেনে
অপেক্ষার সরশয্যা।


চার দিকের নিস্তব্ধতায় বিষণ্ণ আগুন প্রেম।
আর্সেনিক বৃষ্টির পরে ঝলকানো ব্রীজে
রং চটা দেওয়াল লিখন
"আওয়াজ সহ্য করিবেন না"।
আস্ত শহর গিলে খাচ্ছে
মশলার বিচ্ছুরণ!


আমাকে ফিরিয়ে দাও সবুজ শৈশব
দুটো নিম গাছের ছায়া আর
এক বুক বাতাস
এসব হয়তো কোনও দিনও বলতে পারবনা
লিখতেও পারবনা!
আমি নিতান্তই ছাপোষা!


চোখ ধাঁধানো আলোতেও
আমার দিগন্ত জোড়া অন্ধকার
আমার আশঙ্কা একলা হাঁটে
হাওড়ার স্টেশনের সাবওয়ে ধরে।


ফুসফুসে বিষ। নীল শরীর
সদ্য ফোটা কুঁড়ির!
ট্রামলাইন ধরে দৌড়ে গেছি
টিটিকাকা হ্রদ!
মুহূর্তে ঝাপসা দৃশ্যে
আকাশের গুটিসুটি মুখ দেখে
লাল হয়ে আছে ভাসা মেঘ।


ব্যস্ততা চরমে তুলে
দু চারটে সশব্দ মৃত্যুর খতিয়ান,
তুমি পড়তে চাও প্রতিবাদের ভাষা,
অসহায় বার্ধক্যের পরিহাস,
কালো অক্ষরের কর্কশ বিন্যাস।


একদিন তুমিও যাবে সেই পথে
ধোঁয়ার আড়ালে ঢাকা শহর
শীতের সকালেই ডেকে আনবে
সর্বনাশের দুপুর!
তুমি তখন অনেক দুরে
যেখানে বাতাস নেই
শুয়ে আছে ঘুণ ধরা রুপোলি মৃত্যু!
নিথর নীরব!