আমি তোমাকে আমৃত্যু ভালোবেসেছি ,
আমার সম্মুখে আসো না,গলার স্বর শোনাও না,
তাতে কি ,প্রযুক্তি কে বস করে প্রতিনিয়ত দেখছি,
তোমাকেই দেখছি ,আনমনে দেখছি ,অকারণে দেখছি,ভালোবেসে দেখছি,তৃষ্ণা মেটাতে দেখছি।


তোমার এলো চুল গুলা চোখের খুব কাছে এনেছি
অন্তরের হাতে চুল গুলো ছুঁয়ে ছুয়ে দেখছি ,
যেন শিশির ভেজা ঘাস,বটের শাখায় পেচানো গাছ,
শ্রাবনের ঘন মেঘের দাস,ফাল্গুনে ফুলের সুবাস।


তোমার চোখের দিকে পলক হীন তাকিয়েছি ,
হয়তো নিষ্পলক তাকানোর নতুন স্মারক লিখেছি
নিষেধ করতে পার নি,বাধা দিতে পার নি ,
আমার চোখের থেকে চোখ সরাতে পারোনি।
তোমার চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেছি,
ব্যার্থ হয়েছি ,বারবার ব্যার্থ হয়েছি,
তবুও ভালোবেসেছি ,আমৃত্যু ভালোবেসেছি।


তোমার ঠোঁট চোখের মধ্যে নিয়ে দেখেছি,
হয়তো ,কল্পনায় ইচ্ছে মত স্পর্শ করেছি ,
যেন গোলাপের পাপড়ি,শরতের কাশফুলের সারি , কিছুটা বাঁকানো চাঁদের হাঁসি,
আমার বক্ষ ভেদ করা রক্ত মাখানো ছুরি,


তোমার মুখবয় যেন আমার দুহাতে নিয়ে দেখছি
ললাটে স্পর্শ দিয়েছি ,যেন প্রজন্মের সাধ নিয়েছি
তুমি আমার এতো কাছে ,তবুও আমৃত্যু দূরে ,
কল্পনার সোপান বেয়ে স্বর্গে নেমেছি,
চোখ ধাঁধানো সব রূপসী অপ্সরী,
আছে কত জল পরী
সব পায়ে মাড়িয়েছি, শুধু তোমাকে খুঁজেছি,
আমি যে তোমাকেই ভালোবেসেছি ,
স্বর্গের সোপানে তোমাকেই দেখবো ভেবেছি ,
তাই তো আমৃত্যু ভালোবেসেছি ।