অভিমানের ভীষণ ঘোরে-
বৃষ্টি নামে একপলকে, বাঁশির সুরে
সুখগুলো খুব দৃষ্টিউদাস-মাতাল মনে
ধ্যানমগ্ন বৃষ্টি ভোরে
সেই মায়াবী সময় স্রোতে
সেই আকাশের রঙিন ঘুড়ির-স্বপ্ন উড়ায়
কে দিল টান? কে দিল গান!
মোহের মত ঘর সংসার, পাহাড় চুড়ায়!
স্বর্ণালী সেই আলোকছটায়
বৃষ্টি ছিল পাতায় পাতায়......
অশ্রুজলে ভাসলে তুমি,একটু খানি ভেলার মত
কে দিল সব ভাসিয়ে তোমার,অনেকখানি দুঃখের ক্ষত!
কে দিল সব দুঃখ রটায়
একজীবনের বিষাদ খাতায়!
থাক পড়ে থাক দুঃখ যত।
শঙ্খ বাজে মেঘের মত-
এক ফালি চাঁদ, দূর নীলিমায়
হৃদমাঝারে সুখের ব্রত-
একটুখানি কাছাকাছি, দূর অজানায়।
স্বর্ণালী রোদ বিষাদ ভোরে
তোমার গোপন স্বপ্নস্বাদে
সেও ছিল তোমার ঘোরে
ভালোবাসার মরণ ফাঁদে।
এক বর্ষার বন্য সাঁঝে
চোখ নামিয়ে, চেয়েছিলে তাহার পানে!
ডুবেছিলে, ভেসেইছিলে, তাহার মাঝে
নিমগ্ন খুব, দুই হৃদয়ের স্বপ্ন বানে-
তারপর-ঝড়ের মত প্রলয় এলো
পুড়িয়ে দিল, উড়িয়ে দিল বিষণ্ণ এক বিষাদ সুরে
চোখ মুছে তাই দৃষ্টি মেলো
খুব গোপনে, দুঃখগুলো সুখের মত ভেঙ্গেচুরে!
বসন্তদিন ফুরিয়ে গেল
একটুখানি বন জোছনায়, পাখির গানে
তোমার গোপন দুঃখ মাঝে
এক বিষাদের বন্য সাঁঝে
কি দেখে আজ চেয়েছিলে,দুঃখ পানে!