অন্ধকারে ডাকিতেছে গম্ভীর কাক
কালো পালক খসিয়া পড়িতেছে এসিডের উত্তাপে;
আমার গায়ের মাটি গুলো—
লাবার মত গলিতেছে মৃত্তিকার ভিতরে।
বৃক্ষরা নিশ্বাস ছাড়িতেছেনা আমার নাকে,
ডাকিতেছে মৃত্যুরা বৈশাখের অন্ধকারে।
ঢলে পড়িতেছে আলো চোখ, কালো হয়ে—
সবুজ ঘাসেরা ধূসর হয়ে চুষিতেছে আলো,
অন্ধকারে ডাকিতেছে বৃদ্ধ বৃক্ষরা চোখ ভুজে
শুকনো পাতারা ছাই হয়ে আছে।


মাংসে মিশে আছে মাটি—মাটির শরীরে তাপ
পঞ্চ ইন্দ্রিয় বন্ধ হয়ে আসে; পাশে থাকিবে না কেউ
মৃত্যুর কোলে আমি! আমি, কে আমি?
অন্ধকারে ডাকিতেছে গম্ভীর কাক—
ধূসর ঘাস ভিজিতেছে গলিত মাংসের পঁচা পানিতে,
হাড় গুলো আলাদা হয়ে আছে মৃত্যুর কোলে।


মাটির গলিতে শুধু মাটি; আর মাটির শরীর
আমায় ডাকিতেছে অন্ধকারে গম্ভীর কাক—
শরীরের সাথে শুধু শরীর; আর উৎপাদিত ফসল
বাতাসে ভেসে যায় সৃষ্টিকর্তার কাছে।