বস্তির ছেলেটি না খেয়ে বেড়িয়ে পরেছে
                          জীবিকার আশায়,
দুপুরের খাবার খায়নি
রাতেও করেছে উপোস,
কেহ নেয়না খবর
কেহ দেয়না খবর
মা কোথায়?
ঘুমন্ত শহরে, নির্ঘুম রাত কাটে
স্বপ্নরা আসেনা ভয়ে
হাসে না সে হাসে না।


আলো নেই, ঘর নেই
পরাজয় নেই, ভয় নেই
আপন করে নিবে কে?
মাও যে নেই_
খোলা আকাশে চেয়ে থাকে-দুর্লভ চোখে
মুখে খাবার নেই, আদর নেই দুঃখে।
সুখ কাঁদে নর্দমার পানির স্রোতে
বস্তির উল্টো দিকের আকাশ ভার হয়ে আছে
তিন দিক চুপ, বিষণ অভিমানে
আকাশে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে  
ভালবাসা দিবে চাঁদ-বাতাসে মিশে
চাঁদ দূর থেকে ডাকে,
বস্তির ছেলেটি হাসতে হাসতে
জীবনের উল্টো দিকে পা রাখলো,
সে জানতো মানবতার দ্বারে, জল্লাদের আনাগোনা,
তবুও সে যুদ্ধ করেছে, নিজের মনুষ্যত্বের সাথে।