চোখে ঘুম নেই চাপা কান্না নিয়ে বসে থাকে একা
শুকনো রোগা শরীর হাড় গুলো একটা একটা করে-
গোণা যায়; দীর্ঘশ্বাসে মরনের গন্ধ বাতাসে ভাসে
বিচানায় শুয়ে শুয়ে ভাবে মৃত্যুর কথা—আর কাঁদে।
কে দেখবে শরীর, বাবার সাথে বসে আছে ছেলে-
ছোট্ট ছেলের কান্না চোখে কত আর্তনাদ ধূসর
বাবার অসুস্থতায় ছেলে শুধু কাঁদে কাঁদে কাঁদে-
মা নেই, ঘুমিয়ে আছে বকুল গাছে নিচে’ স্বর্গ বাঁধে।


বিছানায় শুয়ে আছে কঙ্কাল শরীর, দু'টি চোখ নড়ে
ঘরে আলো ছায়ার খেলা, ঘাস ফুল মরে ঝরে পড়ে।
মধ্যবয়সীর চোখে মৃত্যুর কান্না দেখে সাদা হাঁস-
কাঁদিতেছে নয়া পুকুরের জলে; শেওলা ঠেঁলে।
শরীরে রক্তের খুব অভাব পানিও নেই—আনার
ঠেঁলে ঠেঁলে কত মুঠো ভাত খাওয়া যায় ঘাঁ মুখে
ঠোঁট শুকিয়ে আছে গলা, সারা শরীর ধূসর
ঘুম নেই, সুখ নেই, অবসর নেই নরম চোখে।


ধূসর মাঠে শুকনো ফুল ঝরিতেছে নক্ষত্রের সাথে
শুকনো শরীরে শুকনো ঘাস খসে পড়ে পথে পথে।