এক সন্ধায় আমি হেঁটে যেতে যেতে
উঁচু নিচু কংক্রিট, কালো অন্ধকার শহরে_
শহর চিৎকার করে বলে থামাও আমাকে থামাও,
নইলে আমার ভিতর থেকে
শত মৃত্যুর যন্ত্রণা খশে পড়বে_
হাসি-খুশি, শান্তনা সব বিলিন হবে।
কালো হাতের থাবা টন টন ওজন
যে থাবা সহ্য করতে পারবে না উড়ন্ত ভ্রমর,
নিষ্পাপ শিশু, ঘর হারা পক্ষি।


হে কালো হাত_
শিশুর স্বপ্ন গুলো মাটি চাপা দিওনা
দিওনা তাঁহাদের মনে কষ্ট–যাতনা
তাঁহারা নিষ্পাপ, অবুজ ধর্মের সাধনা।
খুঁজে দেখ অন্ধকার শহরের ছবি
চাঁদের আলোতে, শহরের কালো মেঘ গুলি___
ছুটাছুটি করছে, রক্ত চুষার নেশায়'
আর তারা গুলো মিটমিট করে জ্বলছে!  
কালো মেঘেরা অন্ধ চোখে বেরিয়ে পড়েছে  
অতি শিগ্রী আলো নিবে যাবে,
আর রুক্ষ মানব গুলো নিজের কবর নিজেই কুড়বে
পিপীলিকার মত মাটির ভেতর থাকবে
দেখবে নিজের পাপ, আজ কোথায় লুকাবে?
শুধু মাটি আর মাটি, মাটির গলি।


কোথায়ও অক্সিজেন নেই!  
যানজট, যানবাহনের হর্ন
কোথায়ও স্তব্দতার বাজার নেই!
সবাই কেমন আনমরা!
ছুটে চলা শত চরণ, কে কার সর্বনাশা?
দিনে সবার মুখোশ খোলা, বাহিরে উচ্চ মালা
বুঝিবার উপক্রম নেই কে অন্ধকারের তালা।


শহরের আলো গুলো, কালো-অন্ধকার চুষে খাচ্ছে  
রুক্ষ মানব গুলো মেঘের বেশে গ্রাস করছে,
শহরের আর্তনাদ, নীরিহ মানুষের জন্য,  
শত কষ্ট, লাঞ্ছনা, নিপীড়িত, যাতনা
কোথায় তার শেষ সন্ধ্যা জোনাকির আনাগনা।