কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
ভেজা হলুদ পাখির সাথে;
বড় বড় ঘাস গুলো গাঢ় সবুজ হয়
সাদা বিড়াল ওখানে কি যেনো খোঁজে_
মিন মিন করে; চোখ গুলো হলুদ।
কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
হেঁটে যাওয়া পিপীলিকার সাথে;
পিপীলিকা গুলো লাল হয়ে আছে
গাঢ় কালো চোখ দু'টি নড়ে চড়ে_
মাটি ছাপা পড়েছে লম্বা হাতের তলে।
কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
ঝরা পাতাদের সাথে;
মরে ঝরে পড়েছে যারা, ঘুম চোখ চুপে
কুমড়ো পাতারা যুদ্ধ করেছিলো
মৃত্যুর সাথে কোন্ এক দিন ঝোপে।
কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
গোবর মাখা ডাটার সাথে;
কাকতাড়ুয়া নীরবের দাঁড়িয়ে আছে
মাথায় হাড়িতে চুন মাখা কালো অন্ধকার
ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনা পাখিরা।
কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
আধমরা খেকশিয়ালের সাথে;
খাবার না খেয়ে কুমড়ো খেয়ে কত দিন বাঁচে
শরীরে মাছি লেগে আছে_
পঁচা চোখে কালো হলুদ পানি ঝরে পড়ে।
কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
মৌমাছি—ভ্রমরার সাথে;
কি চুষে নিবে কুমড়ো ফুলের মধ্য কোলের
রেণু গুলো থেকে?  কি আছে; মধু?
সব তো ঝরে পড়ে বাতাসে, নিঃশ্বাসে।
কথা বলতে চাই কুমড়ো ক্ষেতের আড়ালে
পাতা নেওয়া রমণীর সাথে;
সাদা হাতে পাতা গুলো ছিড়িতেছে
কোমড়ের কাপড়ে পেচিয়ে রাখে
পাতা গুলো সব মরে আছে রমণীর কোমড়ে।