ছেলেটি এখন বড় হয়েছে, নীলের হচ্ছে বিয়ে
বোনের বিয়েতে কত আনন্দ সর্ব পানে ছেয়ে ।
সারা বাড়িতে দুম লেগেছে, হলুদের বাজনা বাজে
কত সাজে সাজলো সবাই, হলুদের সন্ধ্যা সাজে ।
মায়ে সাজে সাদা কাপড়ে, মনে কষ্ট ছেপে
আজ যদি তোর বাবা থাকিত কত আনন্দ যে পেত ।
এই বলে মায়ে কেঁদে দিলো ছেলেটির বুক ছেপে
ছেলেটি যে সান্ত্বনা দিলো ,'মাগো' সব বিধাতার হাতে ।
আজ তুমি কেঁদো না মা, তোমার নীলের বিয়ে
তোমার নীলে কষ্ট পাবে, কাঁদবে নির্জনে গিয়ে ।
ছেলেটির চোখে জল এসে যায়, গোপন করে রাখে
বাবার শোকে বুক ফেটে যায়, দেখায় বড় সুখে ।
সবার সাথে হাসি মুখে বোনের হলুদ হবে
সবাই এসেছে গাঁয়ের মানুষ, হলুদ শুরু তবে ।
হলুদ সময় হলুদের বাটি সবার গায়ে মাখি
হলুদ মেখে, হলুদ সেজে, গাঁয়ের হলুদ পাখি ।
ফটকা-বাজি বিকট আওয়াজ দূরের গাঁয়ে শুনে
বোনের হলুদ হচ্ছে যেনো রাজ-রানীর কনে ।
বোনের হাসি বড়ই মিষ্টি, হাসুক জীবন ভর
বোনে তাঁহার  সুখে থাকুক এই প্রার্থনা ভাইয়ের ।
সারা রাত জেগে কত আনন্দ, পাড়াপড়শি মিলে
মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পরেছে মিষ্টি বোন নীলে ।


সকাল -সকাল হৈচৈ, ঘুম কি আর আসে ?
ছেলে, বুড়ো সবাই মিলে পুকুরের পানিতে ভাসে ।
পুকুরের পানি উঠুনে উঠে গায়ে মেখে- মেখে
কাদা মেখে গায়ে-গায়ে,ঘরে লুকিয়ে রশিদের 'মা' দেখে ।  
রশিদের মাও ছাড়া পায়নি, গায়ে মেখেছে কাদা
পানিতে পেলেছে রশিদের মাকে সকল দেবর জাদা ।
বাড়ির একটি লোকও পায়নি ছাড়া
ঘর থেকে ধরে এনেছে লুকিয়ে ছিলো যারা ।



যারা আগের অংশটুকু পড়েননি পরে নিবেন আশা করি সকল বন্ধুগণ ( কয়েক ফোঁটা রং প্রথম খণ্ড) - ছেলেটির বাবার মৃত্যু ।