ছেলেটির জীবন এমনি করে কেটে যায় বহু বছর
কত কর্ম করেছে সে; ভালো, কালো, ধূসর ।
শিক্ষার পাঠ গুটিয়েছে , সংসারে বড় অভাব
ছেলেটির স্বপ্ন ভেঙ্গেচুরে, স্বপ্নেরা নেয় না খবর ।


ঐ দিকে নীলে, বড়ই কষ্টে, যৌতুকের অভিশাপে
স্বামির হাতে মার খেয়ে যায়, শ্বাশরিও জাপে ।
সংসারের যত কাজ আছে, পড়েছে নীলের ঘাড়ে
নীলে ছাড়া যেন আর কেহ নাই ঐ সংসারে ।
মায়ের কাছে খবর আসে, মেয়ে বড়ই দুঃখে
এক কাপড়ে ছুটেন মায়ে, চার-চার দিকে ।
দিশেহারা মায়ে, পাঁচ কিলোঃ যায় হেটে-  
মেয়েরে দেখে বুকে টানে, খালি বুক স্বাদ মিটে ।
মেয়ের দিকে তাকানো যায়না, কষ্টরা ঘ্রাস করে
পরীর মত মেয়ে আমার , রোগার রূপ ধরে !
মা-রে তোকে বুঝি কষ্ট দেয়, নরকের আগুন জ্বেলে ?
তোর জন্য টাকা এনেছি, গয়নাগাটি সব বেচে–পেলে ।
মেয়ের হাতে টাকা দিয়ে, মায়ে ফিরে কেঁদে - কেঁদে
কত দিন আর নিজের চোখে, দেখিবো কষ্ট ছেঁদে ।
মেয়ে আমার সুখে থাকিবে কোন জনমের স্বাদে
খোঁদার কাছে প্রার্থনা মায়ের, মুনাজাত দিয়ে কাঁদে ।
কিছু দিন নীলের কষ্ট ছিলোনা, টাকার গন্ধ দিয়ে
নীলের শরীরে রস এসেছে পরীর সাজ গায়ে ।
সবাই মিলে মাতামাতি নীলেরে মাথায় তুলে
টাকার কুত্তা জামাই- শ্বাশড়ি মনুষ্যত্ব যায় ভুলে ।
টাকার গন্ধ নাকে আসে না, কষ্ট শুরু দেহ–পুড়ে
কষ্ট বুঝি অবসর হবে না, অপ্সরার গতরে ।
এমনি করে চলতে থাকে দিনের পর দিন
নীলের ঘরে আলো নেই, বিষাদিনীর চোখে আগুন।