শোবার ঘর নেই; ধুলোয় মাখামাখি শরীর
শুকনো—পাতলা সব রোগী ক্লান্তির চোখে চায়
খসড়াপাতার আকাশে করুণ নিঃশ্বাস নামে_
বাতাসে; লাশ গুলো নিচের করিডোরে শুয়ানো
চার দিকে ভেজা কান্না নরম চোখ ঘামে।


নিচ তলায় গাঢ় অন্ধকার কপিন গুলো নিস্তব্ধ_
লাশের অপেক্ষায়; লাশ খাবে রাক্ষসের মত,
ধূসর সন্ধ্যায় নেমে আসা জোনাকির মত উড়ে_
আত্মা গুলো নিধন নেশায় মাতালের মত_
ঢলে পড়েছে মাটির বুকে; বিকট শব্দ করে।


মরা গাছের ডালে বসে যমদূত মৃত্যু গুণে
কাক লাল চোখ মেলে আছে যমদূতের চোখে
হাসপালের কর্ণারে বড় বাবলা গাছের ডালে_
চরই পাখিরা পালক ঝরাতেছে ভীষণ দুঃখে
মৃত্যু—লাশ দেখে দেখে নির্ঘুমে সুখ ভুলে।


লাশের মহড়া চলছে আউটডোরে মীমাংসিত—অ
বিচ্ছেদ হয়েছে সব, দেহ, মন, আত্মা, সব সব_
লাশের স্তুপে লাশ, চার দিকে ভেজা ‘কাঅ’
ক্ষত শত মন, ক্ষত শত দেহ, ক্ষত শত লাশ_
হাসপাতালের বিছানা খালি হয়ে আছে কত সব।


কিডনি হাসপাতালে বসে লেখা।