খাঁচার ভিতর উদাস পাখি কত দিন রবে উড়ে
মরনের ক্লান্তি উঠেছে মিছিল, আত্মা যায় ঝরে।
নরম শরীরে ভাজ পড়েছে শুকনো পাতার মত_
মাছির মত মরে ঝরিবে, মাকড়সার জালে ক্ষত।


শত শত দেহে মৃত্যু কামড়ায়, যন্ত্রণা খোসে পড়ে
পায়ের কোষ মরে রয়েছে, হাঁটে ঘন অন্ধকারে।
মৃত্যু—পোষা পাখির মত দেহে করে বাস—সাজ
হাসায়-কাঁদায়, দুমড়েমুছড়ে চোখ হয়েছে ভাজ।


সকাল, বিকেল, রাত্রি—মরে, ঝরে পড়ে চোখ_
অন্ধকারের মত; ঘুমের মত, মৃত্যুর মত।
মৃত্যুর যন্ত্রণা দেহের ভিতর, দেহ রয় ঘরে বাহিরে_
অন্ধকারে, চাঁদের কাছে, মাটির কাছে, ক্লেশ যত।


আমড়া গাছের মত পাতা ঝরা হয়ে আছে শরীরে
ধবল চুল, আধমরা চোখ শুকিয়ে আছে নীরবে।
এক মনে চাহে আহারে দীর্ঘশ্বাসে মন কেদে উঠে
ঠোঁট শুকিয়ে ধূসর মাঠ, মরে কাক রৌদ্র ফুটে।


চোখের সামনেই কয়েকটি আত্মা উড়ে গেছে
চোখ ঝরে পড়েছে, অন্য চোখের জল ঝরিতেছে।
মৃত্যুর যন্ত্রণা আগুনের মত, পাথর, আকাশের মত_
বৃষ্টির মত, আলো, পাতা, গাঢ অন্ধকারের মত।


ঘরে ঘরে দেহ ঘুমিয়ে রয়েছে, কত বিছানা হয় খালি
দেহের সাথে খেলা করে মৃত্যুর চোখে রয়েছে বালি।
যমদূত ঘুরে ঘুরে আসে সব ঘরে মৃত্যুরে করে সাথে
মানুষ দেহ যন্ত্রণা লয়ে মরে, ঝরে মৃত্যুর মালা গেঁথে।


হাসপাতালে মরনের সাথে রয়েছে অনেকে শুয়ে
অনেক দেহ পড়ে রয়েছে অবহেলা-তুচ্ছ জয়ে।
মৃত্যুর ভয়ে কাঁদিতেছে চোখ, অন্ধ ঝরে চোখে
চিতকার করিয়া কাঁদিতেছে অনেকে করুণ দুঃখে।



রচনা,  কিডনি হাসপাতালে বসে।