যদি পর্দা কর-ন নারী, তোমার ক্ষতি করিলে তুমি
এ ধরায় খেলার ঘড়ি,যে ঘরে বাস, কবর সে ভূমি। উজ্জ্বল দেহে করিয়াছ সাজ,ন-করিয়া পর্দা
দাম নাহি নারী- রমনী, দেহ উলঙ্গ সদা।  


যে সাজের মূল্য-তুচ্ছ দুনিয়ার লাগি বাঁধ
সে সাজ অমূল্য, পরকালে কাঁদিবে বিষাদ।
দেহ ন-ঢাকিয়া ঘুরিয়াছ পরপুরুষের হাত ধরিয়া
এই দেহ গলিবে আগুনে, নরকে পুড়িয়া।
  
রঙ মঞ্চে নিজেকে নাচাইয়া, যতই কর ঢং
ক্ষণিকের দুনিয়া, মিথ্যে মায়া, পুরাইবে রং।
যৌবনের তাড়নায় নিজেকে বিলাইয়া অন্ধকার
ভাবিয়াছ এখানেই স্বাদ–স্বর্গ, মিথ্যে বিহার।

মিথ্যে ভেবে নিজেকে আর করিও না নরকের লাঠি
পর্দায় ঢাকিয়া দেহ, দিনের পথে নেও স্বর্গের পাটি।
নারী তুমি রমনী–মা, তোমার পায়ে সন্তানের স্বর্গ
তুমি কর পর্দা, নিজেকে দিনের পথে গড় বর্গ।