উচ্ছাসে মন রঙ্গিন ঘরে বিবর
কোলে-কোলে দোলে-দোলে
সবার আদর দেহে বহে_
বহে-কহে, বর্ণ, স্বর্ণ নলে
অন্ন উঠে মুখে-সুখে
দু'হাতে বরে সুখ দলে-দলে
সে দিনও সে স্বরণালী ছিলো
সবার মাঝে-মনে
আজ বরবাদ রমনী ভেড়াজালে
অন্ধকার বিষাদ লয়ে
ঘরে আলো নেই-অনলে পুড়ে।


এখানে বাবা-মা নাহি
অপত্য-বর, ঘর-ঘরনী নাহি
এখানে স্বরনালী একা,
সমাজ নাহি, ধর্ম নাহি
শুধু বর্ণ চাহি উজ্জ্বল শরীর,
এখানে পরিবার নাহি-আদর
এখানে পাপ, অন্ধকার লিলা।
জোনাক পোকার আনাগোনা নেই
দুরের আকাশ হাত বাড়ায় না
এখানে অন্ধকারেও চাঁদ উঠেনা
চার দিক বিষণ থমথমে
নরক পতিতা!
স্বাদ চুষে-চুষে যায় শরীরের
যারা আসে তারাও মানুষ নহে-পশু
লাল চোখে চাহে।


কে দিবে তাঁহায় সুখ?
যে আসে ঘরে চুপে?
সুখ চুষার আশায়
আবার চলে যায় চুপে, স্বাদ লয়ে।
স্বরনালী আজ বিরহের গুহায়-বিবর
সবাই চাহে শরীর, স্বার্থ লাভে-ঘৃণায়
বীণা বাজে নাকো গভীর সুরে
দূরে সুর তুলে সুখ, বহু দূরে।
যেখানে আছে স্বাদ, সে স্বাদে মাছি বসে
স্বরনালীর ঘরে-দ্বারে কারা?
আড় চোখে চাহে- কুনজরে যারা
স্বরনালীর চোখে জল দিল-দল বেঁধে
সেও এক দিন চাঁদ ছিলো।


দুঃখরা সব বাসা বাঁধে, বিচ্ছিন্ন সুখে_
গড়াগড়ি দেয় পাপের ঘরে_
নালায়েক শহরে_
যেখানে পাপ নিজের শরীরে অন্যেরে দেয় মেখে!
অপবিত্র করে দেয় শরীর।
শত চিৎকার কেউ শুনে  না
এখানে মানুষ থাকে না-মানহুশ
এখানে শুঁকুনের খেলা বেলা-অবেলা
স্বরনালীর মত কত শরীর কামড়ে খায়_
নরক পতিতা।


স্বরনালী-বর্ণালী, সুখ খুঁজে ঘরনী
সুখ হারা ধরনী
দুঃখ সহে মরমী।
কে দিবে সুখ,- কিঞ্চিৎ ?
সুখের পাখি আজ নিঃস্ব
কোথাও সুখ নেই সারা বিশ্ব।
স্বরনালীর পথে কাঁটা ঢালা
আপন কেহু নেই, বরণ মালা।
একদিন স্বরনালীও চাঁদ ছিলো
ছিল পরিবার-ঘর
বিশাল আকাশ, নিজের শহর,
আজ অন্ধকার ঘর-পতিতা
যেখানে আলো নেই-চাঁদ ।
যেখানে রমনীরা বন্ধী পাখির মত
শক্ত-অমানুষের নির্যাতনে-
শত-শত হাত শরীর স্পর্শ করে
যেখানে ভালোবাসা নেই
শুধু নরম মাংস নিয়ে করে কামড়াকামড়ি।
সেও এক দিন চাঁদ ছিল-স্বরনালী।