চোখ বন্ধ নাকি অন্ধ?
আড় চোখে ঘাড় ফিরে
দেখিনা জল, দুঃখী গরীবের চোখে।
আমি যার তুমি তাঁর
আমরা–তোমরা সৃষ্টি খোদার।


ধনী–গরীব কিসের ব্যাবধান?
মাটির মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ট দান।
গরিবের হাত ভাত খোঁজে ছেলে-মেয়ের কাছে
সে তো গরীব নহে–
সেও তো ছিলো বাবা
আজ পথে পথে ভিক্ষা করে
ছেলে-মেয়ে কি মরে গেছে?


চোখের জল কখনও শুকাবে না
কাঁদতে–কাঁদতে এক দিন ঘুমিয়ে পড়বে
কেউ আর জাগাতে পারবে না
নিচু হাত খানি উঁচুতে উঠার স্বাদ যে কখনও ছিলোনা
শুধু ভাত দে, যদি ভালোবাসা থাকে
আজ কোথায় ভালোবাসা লুকিয়ে আছে,
তাহলে কি সবাই তাঁহার মত ঘর হারা?
সংকোচ! সংকোচ! সংকোচ!  


ল্যাম্পপোস্টের নীচে, রাস্তার মোড়ে, দ্বারে দ্বারে
কোন পথ চিনেছে তাঁহারে, কোন অবনীর তরে।
তাঁহার ঘরেতে পূর্ণিমা ছিলো, ছিলো অরুণ আলো
অন্ন ভিক্ষা ছিলো নাকো, ছিলো সংসার ভালো।


ভালোবাসা আজ হারিয়ে গেছে  
ছেলে পোলে সব হারিয়ে গেছে,
ভাগিয়ে দিয়েছে তাঁহারে
বিদ্ধাশ্রম কিংবা রাস্তায় তাঁহার হবে বাস সংসারে
হাত পেতেছে সবার কাছে, ভাত দিবে কে তাঁহারে?


কপালের সংবিধানের পাতা উল্টাতে উল্টাতে
জীবনের শেষ বিকেলটিও হারিয়ে গেছে
একটি হাত চিরতরে নিচুতে নেমে গেছে
সে হাত আর তোমাদের সামনে আসবে না
কান্না চোখে বলবে না ভাত দে, ভাত দে,
না হয় মুক্তি দে, মুক্তি দে, কবর দে।