শালিকের পায়ে রংধনু বেঁধেছিল কাক ডাকা দুপুরে
রৌদ্র বাতাসে ভেসে আসে ঘাস ফুলের শরীরে
নরম চোখে রমণী চাহে মৃত শরীরে_বাঁশি বাজিয়ে,
মৃত হাঁসের পালক ঝরিয়া পড়ে আলোর মত।
গাঢ় সবুজ পাতা ঝরিতেছে দুলনটাকের নিঃশ্বাসে
একটুকরো গরম রক্ত চুষে নিয়েছিলো জোঁক_
কলমিলতার ঘন বনে; ফুল ঝরে পড়েছে ঘুমে,
আলোর বিছানাতে ক্লান্ত চিল থরথর বুকে।
পানিতে নেমেছিলো আলোর ধ্বনিতে ডাহুকী
মরে ভেসেছিল কোনো এক বিষন্ন ভোরে_সব ঘুমে,
ঝরিতেছে বাঁশ ফুল পুকুরে_রমণীর ভেজা শরীরে,
ঘাস ফড়িং প্রকৃতির সাজে ঝরিতেছে ঘামে।
পদ্ম ভাসিতেছে বুড়ো নদীতে নয়ন মেলে
গরম আলোর জ্বালা শরীর পুড়িয়ে দিয়েছে সেদিন_
যেদিন হাঁস সাঁতার কেটেছিলো নদীর হিয়া,
গান গাওয়া কুকিল মৃত প্রাণ নিয়ে ফিয়ে ঘরে।
ঝাউবনে বাউ সুর তুলে স্বর্ণ বীণা বাজায় আদরে
আলো আরেকবার জেগে উঠেছে শিউরে_
মৃত প্রাণের শরীরে; আলো ভেসে যায় ঘরে,
সব শরীর ঝরে পড়ে আলোর মত করে।



রচনা,  কিডনি হাসপাতালে বসে।