সব চুপ বিষন্নতার আঁধারে, আমি ফুলে
নারিকেল বনে বাসা বেঁধেছি অন্ধকারে
রাতে এসে কেউ দেখে না বৈষম্য ভুলে,
জোনাকিরা আমায় খোঁজে;
যে রাতে চাঁদ উঠেনা নারিকেল বনে
অন্ধকারের  পেঁচা রয়েছে ব্যাকুল।
বাতাসে অন্ধকার ভেসে আসে আমার গায়ে
সুখেরা মরে ঝরে পড়েছে মৃত্তিকার তরে,
ঘাসে ঘাসে সুখ মিশে রয়েছে_
লাল পিপিলিকার পায়ে।


অন্ধকার আমার গা—ঘেষিয়া ভেসে যায়;
কাকের শরীরে হাসে সাদা ফুল।
চোখ মেলিয়া নারিকেল ফুল রাত জাগে
ঘ্রাণ বাতাসে উড়ায়-ঘুরায় অন্য বনে_
যে বনে সব মৃত, অন্ধকারে চোখ জাগে।
মৃত পেঁচার নিঃশ্বাস বাতাসে ঢেলে দিয়েছিল
এখন আর কেউ আসে না বনে
দেখে না চোখ মেলে, সব মৃত_নরম।



রচনা,  কিডনি হাসপাতালে বসে।