জানি না অমৃত প্রেমসুধা
মেটে কোন নারী পরশে!


কাকে বলি  
লুকায়িত বিরহ বেদনা ?


কে শুনবে  
মোর নষ্ট জীবনের আর্তকথা ?


শরতের পূর্ণিমার মতন
প্রকৃতির কোমল বুকে উদর ভালবাসার চিহ্ন এঁকে
একাকী ভালবেসেছি আপন গাঁয়ের
অনিন্দ্য এক কিশোরীকে।
ক্রমশঃ ধারায় একাকীত্ব অষ্ট বসন্ত
ভালবেসে পেয়েছি যত নীরব যাতনা।


কাকে বলি
এই বিরহ বেদনা ?
কলকণ্ঠের অবিরত ধারা শুনেছি
যেন তাঁর বেনুকাহীন প্রেম প্রিয়াসী প্রত্যাশা।
সে সাঝেঁর আহ্নিকের মত আমার
হৃদয় জ্বেলে দিয়েছে অনন্ত প্রতীা।
আমি তাঁর ব্যাকুল হৃদয় জমিনে দূর্গন্ধর বুকে
ফুঁটিয়েছি সুগন্ধী প্রেম গোলাপ, আর
দেখেছি লাউয়ের ডগার মতন নগনগে
তাঁর বাড়ন্ত নির্জন কোমল শরীর।

আমি অনিন্দ্য কিশোরীর হৃদয় সরজমিনে
ফুঁটাতে চেয়েছিলাম একটি দূর্লভ কাশঁফুল।
তাৎণিক আমি নষ্টনীড় পাখির মত
শুনেছি কিশোরী বয়সন্ধি ষোড়শী কুমুদী,
অন্য যুবার নয়ন কর্ণিয়া।
আমি নির্মেষে ব্যর্থতার গ্লানিতে
আত্মদংশনীর নেশায় এঁকে দিলাম
নষ্ট জীবনের সমাপ্ত চিহ্নের অকান্ত বেদনা।


কাকে বলি
এই বিরহ বেদনা ?
কে শুনবে-
মোর নষ্ট জীবনের আর্তকথা ?