কবিতা লিখিনা কতদিন!
প্রথমে আড়ি, পরে ছাড়াছাড়ি,
আজ বিচ্ছেদের যুগপূর্তি।
কবি বলেছিলেন-
“যে কবিতা শুনতে জানেনা
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।”
ভুল বলেছেন কবি।
কবিরাই সবচেয়ে বড় ক্রীতদাস আজ;
শৃঙ্খলিত কবির লোহার বেড়ীতে
মরিচা পড়েছে কতকাল।
স্বপ্নভংগের ব্যাথা তাদের
নিউরনে তোলেনা অনুরণন।
ঘোর অমানিশা ঢেকে আছে আজ
কাব্যের স্নিগ্ধ বাতাবরণে।
শব্দ বিকিয়ে কবিকুল আজ
স্বপ্নহীন দেউলিয়া।
কবিতার ছন্দ আজ রমরমা
বিজ্ঞাপনের বাজারে,
নজরুলের বিদ্রোহী’র দ্রোহ
আজ রণ ক্লান্ত।
রবী’র সোনার তরীর
ভাংগা মাস্তুল পড়ে আছে তীরে,
জীবনানন্দের জীবন প্রদীপের
শেষ আলোটুকু নিভে গেছে কবে।
নিকৃষ্ট সময় করেছে হরণ
বনলতা’র নীড়ের মত চোখ।
আবারো ঝড় উঠুক;
ক্ষ্যাপা পাগলা আউলা কবির
মানসপটে আবারো ভেসে উঠুক
একটি বিপ্লবী কবিতা।
কন্ঠ ছেড়ে বলে উঠুক-
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল,
কাণ্ডারী হুশিয়ার!



রাতঃ ১.১১
জুন ৫, ২০১৬, সিলেট