রাজবংশী ভাষায় (রংপুরীয়া) উত্তরাঞ্চলের মরণ ব্যাধি ‘যৌতুক’ কে ফ্রেমবন্দি করার প্রয়াস মাত্র...


বিয়ানকা সাগাইর নৌকা যখন
ঘাটত আসি ভেরিল,
ভাবিনুং দুঃখের দিন শ্যাষ।
তোর বুজান কী যে খুশি হইছিল।
চ্যাংরা বলে ঘাটাত কামাই করে।
আইচ্ছে হামার কুলছুমোক দেখির।
মোর কুলছুমের গুণের কতা কী আর কং!
আম্পারা শ্যাষ করি পরথম পারা শুরু হইছে।
আছিমুদ্দি মলবি কইছে,
সামনের অমজানোতে কোরান খতম হইবে মোর বেটির।
আর হাতের আন্দন?
উহ! এক্কেবারে বেহেস্তি খানা।
অর হাতের নাপা শাকের তরকারী আর
সিদোল দিয়া সাটি মাছ তুই যদি খালু হায়।
সেই কুলসুমের সমন্ধ আইজ ভাঙ্গি গ্যালো।
ওমা কয়, বেটি মোর কালা।
মুই কী কচুং কালা নোয়ায়?
কিন্তু অতো কালা ফির নোয়ায়।
আরে, আল্লাও কালাক ভালোবাসে।
নাইলে কোরানের হরফ কী সাদা?
কুলসুম’ক এতো করি কনুং
আইজ পাউডার বেশি করি মাখেক।
‘কার কতা কায় শোনে’।
কয়, পাউডার দিলে ঘাম আইসে।
বেয়াদপ বেটি মোর।
একখান সাইকেল আর বিশ হাজার
দিবার চাইছি।
ওমার ডিমেন পঞ্চাশ হাজার।
অত টাকা হামা কোনটে পাই?
নৌকা সানজোত যখন চলি গ্যালো,
তখন মোর কইলজ্যা ফাটি যায়।
কুলসুম মোক কয়-
আর কোনদিন বলে বিয়াও কইরবে না।
বেটি মোর বোজেনা
কালা বেটির বাপের দুঃখ কতুলা।


রাত ৯ টা ১৮
জুলাই ২৬, ২০১৭
সিলেট।