প্যাঞ্জিয়া থেকে ইউরেশিয়া-
বরফযুগ কিংবা নূহের প্লাবন শেষে,
সাহারার ঊষর ভূমি পেরিয়ে,
মানুষের দল এল ইউরোপে।
বন্ধ্যা ধরিত্রীতে এল সবুজাভ।
তখন ছিলনা সীমান্তদেয়াল, না কাঁটাতার,
না ছিল ভূরাজনীতি, না শিল্প বিপ্লব।
শুধুই ছিল অনাদিকালের জিপসি;
আর ছিল লু হাওয়ায় বেদুঈন ঘোড়ার-
অনিমেষ ছুটে চলা।
মহাভারতের দানবীয় হিমালয় ফুঁড়ে-
আবির্ভাব হল, ইবনে বতুতা-মার্কোপোলোর দল।
গগনবিদারী শব্দে উচ্চারিল মহাবীর,
"হায় সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ"।
এরপর কতশত স্রোতে রক্ত এল ধমনীতে।
শক-হূন, দ্রাবিড়-আর্য, চৈনিক।
মনস্তত্ত্ব, রেটিনা-নিউরনে এল পরিবর্তন,
বদলে গেল দৃষ্টিভঙ্গি, রঙ পেল চারপাশ।
ঘরকুনো বাঙালীর উঠোনে এলো-
কত বোদ্ধাপ্রাণ, কত যোদ্ধার শিরস্ত্রাণ।
সরলীকৃত উদার বাঙালী সংস্কার
আজ পাশ্চাত্যের ড্রয়িংরুম থেকে সিম্পোজিয়ামে।
সাদা-কালোর মিথোজীবিতায়-
বিশ্বাস ও বোধে এল বৈচিত্র্য।
মরু অট্টালিকার শ্রমিকের ঘামে,
কিংবা আশ্রয়-প্রত্যাশী অ্যাসাঞ্জ-স্লোডেনের দীপ্ত চোখে,
অথবা, ভূমধ্যসাগরীয় ক্রীতদাস ও রোহিঙ্গা শরণার্থীর-
উদাসীন চাহনীতে-
আজ আমি আলেকজান্ডার বা কলোম্বাসকে খুঁজিনা।
খুঁজে বেরোই শুধুই পুশ ও পুল ফ্যাক্টরের কিছু নিয়ম।
জাতিগত সংঘাত,  ভোক্তা সংস্কৃতি কিংবা রেমিট্যান্স,
এ নিয়েই ছুটে চলে আজকের হোমো সেপিয়েন্স।


রাত ১০ টা ১৫
মে ০১, ২০১৯
সিলেট।