জন্মে অবুঝ, কৈশোরে ব্যবুঝ
বাল্যে চাঞ্চল্যতা, যৌবনে আসে পূর্ণতা,
যৌবনে পড়িলে পা আচলে রাখেনা মাতা
তখনি উপরি সময় যুদ্ধে ডাকে ভ্রাতা।


এ সময় নহে থাকিবার ঘরে
মাঠে দেয় শত প্রাণ দোলা,
যৌবনা এক কুষ্ঠ দেখিতেছে তাহা
দরজার রাখিয়া খিল খোলা।


কলেজে পড়িতে বুদ্ধি বাড়িছে
কাকার বাড়িছে টান,
গর্ব করিয়া কহিতেন এ'ওরে
এ বেটা রাখিছে বংশের মান।


ভার্সিটিতে হয়েছি ভর্তি
সমাজে বাড়িছে শ্রদ্ধা-ভক্তি,
মামা কহিতেন এ'মর ভাগ্নে
সমাজের হবে বড় শক্তি।


চেয়ারম্যান আসিয়া দিতেন বাহ বাহ্
বন্ধুরা আসিত দলে দলে,
কুষ্ঠ হওয়াই কেউ আসে না এখন
মরিলেও কবরে ফেলিবে না, সন্দেহে মন জ্বলে।


মাঠে প্রান্তরে যুবকেরা
নাড়িছে ঘুড়ির নাটাই,
তুমি কুষ্ঠতা দিয়া আমার
যৌবন কাটাইছ ভাটায়।


কুষ্ঠ যৌবনা ডাকিছে প্রভুরে
সহসা ছাড়িবে কি মোরে,
যৌবনের এ সিন্ধু ছাড়িয়া
বিন্দুতে কাদাইছ মোরে।


যৌবনে এত আকুলতা, ব্যকুলতা,
শয্যায় নড়িলে পিঠে পড়ে ঠোসা,
তবু বিন্দু সম নাই বিরহ-যাতনা
প্রভুর প্রতি কমেনি ভালোবাসা।


এই সবুজের প্রান্তরে আসিব বলে
মুক্তি চাহিতে ডাকিয়াছি বিছায়ে চাটাই,
তুমি প্রভু করনি কৃপা
আমার যৌবন কাটিছে ভাটাই।