চাঁদের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে আজ উপরে উঠেছি খুব,
পাশবিকতাও বেড়ে গেছে আর মানবতা নিশ্চুপ !
বাহিরে ঝলমলে পোশাক ভেতরে এখনো আদিম,
সাদা কালো বর্ণ বিভেদ হৃদপিণ্ড আজও রক্তিম !
অরণ্য হয়েছে উজাড় আরণ্যক অধিবাসী আছে,
বুকের ভেতরে পাশবিকতা আগলে রেখে বাঁচে !
মরে পড়ে আছে পাথরের যুগ সভ্যতার পদতলে,
অসভ্যতা ওত পেতে থাকে বিবেকের রোষানলে !
জ্ঞান বেড়েছে অনেক খানি বেড়েছে সাথে পাপ,
মনুষ্যত্ব আজ অসহায় কাঁদে অবিনাশ অভিশাপ !
পৃথিবীটা যেন যন্ত্র দানব খুব বেশি গতিশীল,
মানুষের বুকে লাল নীল কিট হাসে করে কিলবিল !
নিভৃতে ভাবি এগিয়েছি কত নাকি আছি পশ্চাদে ?
আদিম অরণ্য পেরিয়ে বিবেক অন্ধের মত কাঁদে !
অমানিশা নেই এ কোন আঁধার গ্রাস করে মানবতা ?
বিবেক আজ দেখি পুরানের পাখি পর্যবসিত কথা !
পাথরের যুগ সেই হাতিয়ার শানিতো এখন বেশি,
সেই আদিম যুগ তার চেয়ে খুব অবিরাম রেষারেষি !
পশুদের ভয়ে জড়োসড়ো নই মানুষের ভয়ে শেষ,
আদিম যুগের অরণ্য ছেড়ে কতখানি আছি বেশ ?
এই প্রশ্নটা জেগে উঠে মনে লজ্জায় মরে যাই,
ইচ্ছে করে সেই আদিম যুগে ফিরে যাই পুনরায় !