আজ যেদিকে তাকাই অসভ্য জানোয়ার,
খামছে ধরে হৃদয় হৃদপিন্ড আমার ।
কিছুতেই ফেলতে পারিনা পা চৌকাট থেকে,
ওরা আমার অনির্দ্দিষ্ট ভবিষ্যত লেখে ।
এই অরণ্যে আমার রক্ত করে পান,
ওরা দীর্ঘজীবি হয় চির অম্লাণ ।
শুধু আমি নির্বাক দর্শক হয়ে রই,
অথর্ব রসভের কাছে পরাজিত হই ।
আজন্ম এইখানে নন্দ্যিত পশুদের হাতে,
নিজেকে সমর্পণ করি সমুদয় ঘাত প্রতিঘাতে ।
যখন মানুষ নেই অবশিষ্ট আর একজন,
এ সময় বড়ো বেশি দূর্বিসহ মন ।
যেদিকে চোখ ফেরাই আশ্চর্য্য হয়ে দেখি,
মানুষের বেশে বন্যেরা বিচরণ করে, একী ?
এখন জঙ্গল ,জন্তু- জানোয়ারহীন ফাঁকা ,
সমাজ সভ্যতা পাশবিক চিৎকারে ঢাকা ।
তবে কি ওহাদের নখরে রক্তাক্ত হতে এসেছি এখানে ?
শ্বাপদ সারমেয়দের পদাঘাত জীবনের মানে ?
তা না হলে আর কতোকাল প্রতীক্ষায় ,
পাথর হবো বিষাদ নীল যন্ত্রণায় ?
মানুষ হয়ে কখন উঠবো জেগে ?
এইখানে মনুষ্যত্বের অনন্ত আবেগে ?
পশুদের পদধূলোয় আজ পৃথিবী অন্ধকার,
এ জমিনে এমন হয়না ,হতেই পারেনা আর !
অমরাবতী সে তো পশুদের প্রয়োজনে নয় ,
আমরা মানুষ হলে ,আমাদের হবে নিশ্চয় ।